
সংক্রমণ হয়েছিল ১৪ মে। সেদিন রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজার ৮৪৬ জন। তবে সেখান থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দেওয়া গিয়েছে। ৯ জুলাই রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৫,৩৮৪। করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যাও ১০০-র নিচে নেমেছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক বললেন, ‘আমরা মনে করছি, জুনের শেষে করোনার দৈনিক সংক্রমণ অনেক কমে যাবে। আমরা ‘বেসলাইন’ ছুঁতে সক্ষম হব। তবে যুক্তরাজ্য, কানাডার মতো দেশগুলিকে দেখে আমরা আন্দাজ লাগাতে পারি যে অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। সেই অনুযায়ী আমরা আমাদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যেই।’
এদিকে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে তৃতীয় ঢেউতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হতে পারে। এর জন্য পেডিয়াট্রিকের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শয্যার সংখ্যা বাড়ান হচ্ছে রাজ্যে। এছাড়া নবজাতকদের জন্যেও শয্যার সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাজ্য। আপাতাত পেডিয়াট্রিক আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ২৫০-৩০০ রাখা হবে। পরবর্তীতে তা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে প্রথমে ৫০০ পরে ১০০০ এবং প্রয়োজনে ১৫০০ করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের।
এদিকে রাজ্য সরকার পরিচালিত ৬৯টি নবজাতক ইউনিটে বর্তমানে ২৫৮৩টি শয্যা রয়েছে। এই সংখ্যাটাও বাড়াতে চলেছে রাজ্য সরকার। তাছাড়া প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে পেডিয়াট্রিক ইউনিট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। বাইপ্যাপ-এর সুবিধা থাকবে, এরকম ইউনিটের কাছে এই পেডিয়াট্রিক ইউনিট চালু করতে চাইছে রাজ্য। এদিকে শিশুদের জন্য বিশেষ পালস অক্সিমিটারও আনানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় ঢেউতে কোনও দিনই ৩ শতাংশের বেশি রোগী শিশু ছিল না। তবে অন্যান্য দেশকে দেখে আমাদের তৈরি থাকতেই হবে।’ এই কারণেই ব্লক স্তরেও চিকিত্সা ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো উন্নতির দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে।