নিজস্ব প্রতিনিধি(অর্পিতা): যে ফলক নিয়ে এত বিতর্ক, বিশ্বভারতী ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ার পর বসানো বিতর্কিত সেই ফলক ভেঙে ফেলল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বুধবার সন্ধ্যায় চাপের মুখেই সেই ফলককে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিবর্তে শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশমতোই বসানো হয় নতুন ফলক।
উল্লেখ্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি পাওয়ার পরই শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী উপাসনাগৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে তিনটি ফলক বসান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম ছিল। ছিল না রবীন্দ্রনাথের কোনও নাম-গন্ধ। এরপরই এই ফলক নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। প্রতিবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্না অবস্থানে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিবাদ করে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকেরা। গত ৮ নভেম্বর, বিতর্কিত ফলক সরানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। সেইমতো এদিন সন্ধ্যায় পুরনো ফলক সরিয়ে নয়া ফলক বসানো হয়েছে। যাকে স্বাভাবিকভাবেই স্বাগত জানিয়েছেন আশ্রমিক থেকে পড়ুয়া সকলে। নতুন ফলকে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী বা উপাচার্যের নাম নেই। ফলকের মাঝখানে অশোক স্তম্ভ। দুপাশে ইউনেস্কো ও বিশ্বভারতীর লোগো রয়েছে। বিশ্বভারতী ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো বলেন, ‘কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশ মতোই নতুন ফলক প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ’