রঙ মেলাতে হবে ঃ”আজ সবার রঙে রঙ মেলাতে হবে “– বেসুরো গলায় বড় শ্রীমান গাইছে, আর ছোটভাই তাকে সুরে আনতে কখনও শিস দিয়ে, কখনও সুরে সুরে চেষ্টা করে চলেছে। মায়ের মুখে মুচকি হাসি।মা বুঝলেন,শিশুমনেও রঙের ছোঁয়া। তাদের চারিদিকে শিমূল, লাল- হলুদ পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, অশোকফুল। মৃদুমন্দ বাতাসের দোলা –তাদেরও মনে দোলা দিয়েছে। শীতের ধড়াচুড়ো খুলে নবীন পাতায়, আমের মুকুলে, লেবুর সুগন্ধে কোকিলের কুহুতানে যে শৈশবও মাতোয়ারা। মা-ও পাবলো পিকাসোর মতই বিশ্বাস করেন, ” আবেগের পরিবর্তনকে অনুসরণ করাই হলো রঙের বৈশিষ্ট্য “! মা শ্রীমানদের সাথে ” গানটা” নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। ” সবার রঙে — সবার– কারা?” দুজনেই বলে উঠলো, জানি- জানি৷ বাবাই,তাতাই, রমেশ,উমেশ, রফিকুল, তন্ময় — সবার- সবার সাথে রঙ খেলে ভূত হব। মা বুঝলেন, ওরা ওদের প্রতিবেশী সব বন্ধুদের কথাই বলছে– যার মধ্যে আছে, ধনী – দরিদ্র, উচ্চবর্ণ- তথাকথিত নিম্নবর্ণ,হিন্দু – মুসলমান। এমনই থেকো তোমরা,বিভেদ জেনো না,বিভেদ কোরোনা– এমনই প্রার্থনা মা’য়ের। মুখে বললেন, “একদম ঠিক বলেছ। আমি দোলের দিন অনে-ক রঙ এনে দেব ” । শ্রীমানেরা আনন্দে সুরে- বেসুরে শুরু করে দিল- -” মেঘ রঙে রঙে বোনা,আজ রবির রঙে সোনা,আজ রঙ-সাগরে তুফান ওঠে মেতে “।✍🏻@সোনালী মজুমদার।