নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): কোনও রকমের রাজনৈতিক সংঘর্ষকেই মেনে নেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে তিনি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলবেন। দিনহাটায় সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন রাজ্যপাল সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ বাগডোগরা থেকে সড়ক পথে দিনহাটা শহরের পাঁচমাথার মোড়ে এসে পৌঁছন।
সেখানকার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। এরপর দিনহাটা থানার আধিকারিকে ও জেলা পুলিশের আধিকারিকরা ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তাঁকে জানান। এরপরই
সাংবাদিক বৈঠকে আনন্দ বোস বলেন, ‘নির্বাচনি বিধি লাগু হয়েছে তাই কোনও ধরণের সংঘর্ষ আমরা মেনে নেবো না। যেকোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ দমনে আমরা জিরো টলারেন্সে নীতি নেব।’ পাশাপাশি এদিন দিনহাটাবাসী যেভাবে সমবেত হয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে এসেছেন তারও প্রশংসা করেন। তবে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে রাজ্যপালকে অভিযোগ জানান তৃণমূল কর্মীরাও। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা এলাকায় শান্তি চান।
গতকাল রাতে দিনহাটা পাঁচ মাথার মোড়ে রীতিমতো ধস্তাধস্তিতে জড়ান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। উদয়নের দাবি, পরিকল্পিতভাবে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা ও এক পুলিশ আধিকারিক হামলায় জখমও হয়েছেন। যদিও বিজেপি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ তোলেন। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বুধবার দিনহাটা ২৪ ঘন্টা বনধের ডাক দেয় তৃণমূল। যদিও কিছুক্ষণ বনধ চলার পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকেও কোচবিহারে এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।