? রসক্রিয়া সম্পর্কিত কথাপট ? বিদ্যুৎ ভৌমিক _____________________ ব্যাপারটা আসলে কিছুই না , আমি মনে করি রসক্রিয়া নামক বিষয়টা নিয়ে একটা চাপা নষ্টামি বাজারে বিক্রি হচ্ছে । এই যে সৃষ্টির ভেতরের ছবিটা, যেটা দেখে আমারা সবাই সিউরে উঠি, সেটা যদি না থাকতো তাহলে আমাদের জীবন স্তব্ধ হয়ে যেতো ! তবে ইদানিং সাহিত্য, শিল্পে যেভাবে সেক্স-কে ব্যবহার করছেন শিল্পী – কবি – সাহিত্যিকরা, সেখানে প্রধান উপজীব্য হয়ে উঠেছে সেক্স ! এখন চলচ্চিত্রের তালিকা তৈরি করলে দেখা যাবে বেশির ভাগই আদ্যোপান্ত সেক্স-এ ঠাঁসা বুনোট ! স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ ছাত্র – ছাত্রীদের কাছে উন্নতমানের মোবাইল ফোন, সেখানে ইন্টারনেট কানেকশন বহাল রয়েছে । সেটাই হচ্ছে চড়ম ভয়ের কারণ ! কেননা ব্লু-ফ্লিম নামক বস্তুটা যুব-সম্প্রদায়কে পঙ্গু করে দিয়েছে ! এই যে বিষয়টা অর্থাৎ রসক্রিয়া “— শীর্ষক লেখা লিখতে হবে সেটাও আমার কাছে প্রথমে মনে হয়েছে লিখবো কি লিখবো না ! পরে আবার মন-কে হাজার প্রশ্ন করে উত্তর পেলাম , না লিখতে নিশ্চয়ই হবে তার প্রধান কারণ ; অন্ধকারের মধ্যেই-তো থাকে এক আকাশ নীলাশ্মদ্যুতি মাখা আলো , তাই না ? রসক্রিয়া শব্দটা একটা — চেনা Concept ! যার সম্পর্কে আত্মগত বোধ প্রত্যেকের মধ্যে – বর্তমান ! এটা ঢাক ঢোল পিটিয়ে বলার কোনো মানেই-তো হয় না । এখন স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, সব জায়গায় দেখছি সেক্স এডুকেশন পড়ানো হচ্ছে ! এটারও প্রয়োজন আছে বই-কি । এই অবক্ষয় যুগে মূল্যহীনতা যেভাবে সংক্রামক ব্যাধির মত ছড়িয়ে পড়েছে, তার মূল কারণ সেল্ফ পার্সোন্যালিটি অভাব ! যাই হোক আমার ধারণার কিছুটা আপনাদের সাথে ভাগ করে দিলাম । সবাই ভালো থাকুন এবং সুন্দর থাকুন — বিদ্যুৎ ভৌমিক, হুগলি শ্রীরামপুর, ভারত, পশ্চিমবঙ্গ ]____________________________________________ রসক্রিয়া বিষয়ক কবিতা ? ¤¤ স্বপ্নদোষের মহা কাব্য ¤¤ ________________________________ ¤¤ বিদ্যুৎ ভৌমিক ¤ক ) ____________________প্রকারান্তরে আমিও নির্ঘুম বহুকালভেতরে – ভেতরে যন্ত্রণায় ছিন্নভিন্ন প্রতিদিনের রাতআমিও আকাশ পাড়ে ডানা মেলে উড়ে গেছি বহুযুগ আগে ****সেখানে আঁধার আঁকা ছবি গুলো নীরবতা নিয়েমুখ খাপাপ করেছে নিজে-নিজে !প্রকারান্তরে ;এই বেশ ভালো থাকা, কিম্বা অতলে হৃদয় ছিড়ে মন্দ হয়ে থাকাতবুও কী এক অস্থিরতা ও কামপ্রবাহ চলে ভেতরে-গভীরে ।এইখানে প্রতিদিন আমি ভিজে উঠি একমাত্র কবিতার কারণেএকান্নটা চুমু খেতে খেতে খেতে রোজ রোজ ধ্যানস্বপ্নেআমি হই অলস উলঙ্গ ;তবুও বিষের মধ্যে জ্বলে ওঠে মহাকালের সমস্ত — সময় !কী এক ডানার দাপোটে আকাশ-ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বোঝেনি,অথচ এইভাবে কেউ কেউ নিজের মধ্যে মরে গেছে ভীষণ একা একা !খ )চোখ বন্ধ হৃদয়ে স্বপ্নহীন আমিও-তো আছিশরীর থেকে সমস্ত তাপ ও প্রভুত নষ্ট ইচ্ছাগুলোইচ্ছেমতো ছুঁতে চায় রুলুম-কুমারীর স্তন-নাভী-যৌন গোলোক ***তনু মেলা রাত থেকে সমস্ত স্বপ্নের সিঁড়ি উঠে আসেআমার বিছানায় ****মাঝেমধ্যে কোথাও কোনোখামে হীমপ্রবাহ চলে নিঃশব্দে,নাভীর নিচে নগ্নতা ভরা আলো, — ওখানে রোজ প্রতিদিনআমি পুড়ে ছাই হয়ে যাই ****একশো-টা বছর ধরে একই ভাবে একাকার আমি ও তুমিঅথচ শরীরহীন নিঃশর্ত মৈথুন ভাসিয়েছে আমাকে একটু বেশি !কোথাকার রাত জলে ডুবে যায় ঘুমপাড়ানি মালি-পিসি ;চাঁদ নিয়ে খেলা শুরু হয় তোমার শরীরের প্রতিটা রাস্তায় —মাঝেমধ্যে কৈফিয়ত-গুলো কর্তব্যপরায়ণ হয়ে ওঠেশেষ যেদিন মৃত্যু হয়েছিল ; সেদিন তুমি~তুমি~তুমি, — করেট্রোপস্পিয়ারে ভেসে-ভেসে চিৎকার করছিলাম !সেই-যে সেইদিন গুলো প্রীতিস্নিগ্ধ না হলেও অন্তত এই খানেচড়ম সহবাস করেছিল অগন্য নির্জনে !শেষ পর্যন্ত এক-একটা পুড়ে ওঠা অভিযোগ, অস্বীকার করেছেআমি নাকি একাই ভালোবাসা-কে নিজের মত কাছে পেতেচেয়েছি !গ )সম্বিত না ফিরলে-ও স্তব্ধ সবকিছুঠিকঠাক মতো কিছু একটা নিষিদ্ধ গন্ধে স্বপ্ন ভাঙেযে রাস্তাটা আমাকে ফেলে রেখে অবিকল হেঁটে গেছেওখানে সহজ স্তব্ধতায় শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদও গির্জার বয়স্ক ঘড়িরশব্দ শুনতে পেয়েছে !উত্তরের অপেক্ষায় না থাকলেও এই ছবিটাআমার কবিতার সাথে সমান অধিকার নিয়ে থাকবে ***একদিন বছর উনিশ আগে নবনীতাকে বলেছিলাম ; কাছে এসো,তোমার যোনির আগুন থেকে একটা সিগারেট ধরিয়েশেষ পর্যন্ত মৃত্যু পাড় করি !এতকাল পরে কথাহীন যতকথা নীরব ভাস্করে ছবি এঁকেছিলনা বলা কথাগুলো আমার পেছনে ফেলে হেঁটে হেঁটে গেছে ****কী এক দোষ-দোষ গন্ধ নিয়ে রাত সাড়ে ন’টায় আমি আছিতোমার শরীরী রাস্তায় !ঘ )সব কিছু ঠিক আছে কিনা ; সেগুলো নিয়ে কিছু কথা হয়েছিলমধ্যবর্তী সময়ে আমিও শান্ত হয়ে ছিলাম চুপকথা মেলে, —রোজ রোজ এই সময় অনন্তকালের নদীটা অবলীলায় আমারপ্রলাপ গুলো নিয়ে হেসে ছিল একা একা ****দিন-রাত নিঃসন্দেহে বলেছি ; দেখে নিও আমিও প্রাণ দেব !প্রথম প্রথম একটু একা হয়ে থাকার কারণে বৃষ্টিগুলোর হিসেবকরে উঠতে পারিনি ; অথচ কবিতার এ্যালবাম দেখে মনে হল , -আমি কী সেই ; যে প্রতিদিন কথাহীন আঁধারে মন পেতে বসেছিল একান্নভাগ মিলন ইচ্ছায় ! অযথা কারণে ! ? স-মা-প্ত ?____________________________________________