নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): পাক্কা এক যুগ পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত । উত্তেজনায় ফুটছে আসমুদ্র হিমাচল। স্মার্ট ফোন বা টিভি-তে নয়, খোদ মাঠে বসেই খেলা দেখতে চাইছেন অনুরাগীরা। আর ঠিক এই পরিস্থিতিতেই প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আহমেদাবাদের বিমান ও হোটেল ভাড়া।
বুকিংডটকম-এর হয়ে কান্ট্রি ম্য়ানেজার হিসেবে কাজ করেন সন্তোষ কুমার। ভারত, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া দেখেন তিনি। সন্তোষ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মে বলেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় থেকেই আয়োজক শহরগুলিতে যাওয়া এবং থাকার জন্য় বুকিংয়ে বিরাট চাহিদা দেখা গিয়েছে। ভারত এখন ফাইনালে। উন্মাদনার পারদ চরমে। আহমেদাবাদে হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে ফ্লাইট বুকিংয়ের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।’
আগে আমদাবাদ এলে হোটেলে খরচ যা হত, এখন গেলে তার দ্বিগুণ খরচ তো হবেই। আমদাবাদে ছোট-বড় মিলিয়ে হোটেলের সংখ্যা কম নয়। ছোট হোটেলগুলি দাম বাড়ালেও তা সাধ্যের মধ্যে আছে। কিন্তু অভিজাত কিছু হোটেলের ভাড়া এখন আকাশছোঁয়া। দু’দিনের জন্য আমদাবাদ ভিভান্তায় থাকার খরচ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা, ম্যারিয়টের খরচ ২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি, তাজেও দু’দিন থাকতে হলে খরচ প্রায় প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা।
হায়াত তো আবার ভাড়ার দিক থেকে বাকিদের পিছনে ফেলে দিয়েছে। এখানে ১৮ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত থাকার খরচ পড়বে ৪ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। র্যাডিসন ব্লু, নভোটেল, তাজ গান্ধীনগর, ফরচুন ইন, সিয়ারা স্টাইলসের মতো হোটেলগুলিতেও দু’দিনের থাকার খরচ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।
শুধু হোটেল নয়, একই রকম ভাবে ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে আমদাবাদগামী সব বিমানেরও ভাড়া বেড়েছে। কাল এবং পরশু মুম্বই, চেন্নাই, নয়া দিল্লি থেকে আমদাবাদগামী এবং ফিরতি বিমানের ভাড়া বাড়িয়েছে স্পাইসজেট, ইন্ডিগো, এয়ারলাইনের মতো বিমান সংস্থাগুলি। নয়া দিল্লি থেকে আমদাবাদ আসা-যাওয়ার বিমান খরচ পড়বে ৪০ হাজার টাকার কাছাকাছি। কলকাতা থেকে আমদাবাদে বিমানে আসা-যাওয়া করতে খরচ পড়বে প্রায় ৮০ হাজার টাকার কাছাকাছি। চেন্নাই থেকেও আমদাবাদ আসা-যাওয়ার খরচ পড়ছে ৪৭ হাজার টাকা মতো।