‘নিজস্ব প্রতিনিধি(দেবলীনা): থানায় পৌঁছে গিয়েছে এক খুদে পড়ুয়া। দরজা ঠেলে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ অফিসারের। এখন এই খুদে পড়ুয়া থানায় কেন? তৎক্ষণাৎ এগিয়ে আসেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। সেখানে খুদে পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসা করা হয়, থানায় আসার কারণ কী? কার সঙ্গে সে থানায় এসেছে? খুদে পড়ুয়া জানিয়ে দেয় সে একাই থানায় এসেছে। আর তার সঙ্গে যে ঘটনার বিবরণ খুদে পড়ুয়া দিয়েছে তাতে গোটা থানায় পিন পড়ার নীরবতা তৈরি হয়।ঠিক কী অভিযোগ খুদে পড়ুয়ার? তেলঙ্গানার মাহাবুবাবাদ থানায় হাজির হয় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া খুদে। থানায় ঢুকে সে জানায় অভিযোগ দায়ের করতে চায়। স্কুলে তাকে শিক্ষক মারধর করে। তাই এই শিক্ষককে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। শিশু মনের কষ্ট দেখে তখন পুলিশ অফিসারদের চোখেও জল। সবাই চুপচাপ হয়ে গিয়েছে। থানায় তখন নীরবতা।পুলিশ সূত্রে খবর, তেলঙ্গানার একটি বেসরকারি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে অনিল নায়েক। শিক্ষকের মারধরে সে খুব কষ্ট পেয়ে থানায় এসেছে। শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। এই খুদে পড়ুয়াকে মহিলা পুলিশ পরিদর্শক রমাদেবী তাকে জিজ্ঞেস করেন, কী হয়েছে? অনিল জানান, ওই শিক্ষক তাকে মারধর করেন। পড়াশোনা না করায় তাকে মারধর করা হয়েছে।কী পদক্ষেপ করল পুলিশ? অনিলের অভিযোগ শুনে পুলিশ তাকে নিয়ে ওই স্কুলে যায়। সেখানে শিশু মনের কষ্টের কথা জানায় পুলিশ। এমনকী কতটা কষ্ট পেলে একজন খুদে পড়ুয়া থানায় আসতে পারে তাও স্কুলকে বোঝায় পুলিশ।মহিলা ইন্সপেক্টর শিশুটিকে আদর করে জানায়, আর তোমাকে কেউ মারবে না। শিশুটি তাও শিক্ষকের গ্রেফতার চায়। তখন পুলিশ ইন্সপেক্টর শিশুটিকে বলে, সবাইকে বকে দিয়েছি। কেউ আর তোমাকে মারবে না। তখন শিক্ষক, ছাত্র এবং পুলিশের চোখে জল নেমে আসে।