নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): গোটা দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’। তথ্য অনুসারে, ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট বিশ্বের ৭৭টি দেশে ছড়িয়েছে। তবে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ওমিক্রনের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এ বিষয়ে হু প্রধান টেডরস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস জানিয়েছেন, ভ্যারিয়েন্টটি অপ্রত্যাশিতভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।এমনকি তিনি, আগের ভ্যারিয়েন্টেগুলোকে ওমিক্রনের মতো এত দ্রুত ছড়াতে দেখেননি। হু বলছে আরও দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, এই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে ঘটেছে অনেক পরিবর্তন। তাই সব মহলেই এই ভাইরাসকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক বাড়ছে। এমন অনেক আক্রান্তের খবর মিলেছে যারা করোনার দু’টি ডোজ এমনটি বুস্টার নেওয়ার পরেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দুটি টিকা বা বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরেও ওমিক্রন থেকে আপনার কোনো ভয় নেই, এ ধারণা রাখবেন না। কারণ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এর ধরন থেকে শারীরিক ক্ষতি করার মাত্রা সম্পূর্ণ ভিন্ন পর্যায়ের। টিকা নেওয়ার পরও কতটা ঝুঁকি আছে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার? এই প্রসঙ্গে গবেষকরা জানাচ্ছেন, টিকা নেওয়ার পরও হতে পারে করোনা। এক্ষেত্রে দেখা গেছে, টিকা সম্পূর্ণ হওয়া ২০-৩০ শতাংশ মানুষের ফের সংক্রমণ হচ্ছে। কারণ কোনো ভ্যাকসিনই সম্পূর্ণ কার্যকর নয়। আর করোনা যখন নিজের রূপ বদল করেছে, সেক্ষেত্রে আগে তৈরি হওয়া এই টিকা কতটা রোগের হাত থেকে থেকে বাঁচাতে পারবে তা সময়ই বলবে। তবে মানুষকে থাকতে হবে সতর্ক।
অনেক ব্যক্তিদেরও করোনার দুটি টিকা নেওয়া শরীরেও ওমিক্রন থাবা বসাতে পারে। আসলে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে, অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এমন মানুষের টিকা নেওয়া থাকলেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কারণ এসব মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে। আবার বয়স ৬০ বছরের বেশি হলেও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই বয়সেও ইমিউনিটি কমে। এ ছাড়াও যারা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন, তাদেরও বিশেষভাবে সচেতন হওয়া উচিত।