নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশকুমার):কাছাকাছি এসেও সম্পর্কে ফাটল। তার পরেও কংগ্রেসের ‘মিশন গুজরাত’-এ ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ভূমিকা জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।এ বছরের শেষের দিকে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের দুটি সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে কংগ্রেসের প্রচারে কাজ করার জন্য রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে পিকে-র।গত বছর বেশ কয়েকটি ঘটনার পর উভয় পক্ষের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে কংগ্রেস-পিকে সম্পর্কে ফের এক বার নাটকীয় মোড় নেয়।গত সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বেশ কয়েক বার সাক্ষাত্ করেন পিকে। দলকে শক্তিশালী করার জন্য সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা আলোচনায় বসেছিলেন ভোট কৌশলীর সঙ্গে। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই কংগ্রেস এবং রাহুলের সম্পর্কে পিকে-র বিস্ফোরক টুইট উভয় পক্ষের সম্পর্কে চওড়া ফাটল সৃষ্টি করে।তবে পিকে অথবা কংগ্রেস নেতৃত্ব, কোনো তরফেই এ ব্যাপারে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। কিন্তু মঙ্গলবার গুজরাতের কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে রাহুলের বৈঠকে উঠে এসেছিল বিষয়টি। জানা যায়, গুজরাত কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা ভোটের প্রচারে প্রশান্ত কিশোরকে নিতে আগ্রহী।গত অক্টোবরে পঞ্জাব এবং ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসের তত্কালীন জটিল অবস্থার প্রসঙ্গও টেনে ‘পিকে’ টুইটারে লেখেন, কংগ্রেসের ‘গভীর-বদ্ধমূল সমস্যা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা’ কাটিয়ে ওঠার কোনো চটজলদি সমাধান নেই। পাশাপাশি লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে বলেছিলেন, এই ঘটনাকে সামনে রেখে যাঁরা শতাব্দী প্রাচীন দলটির দ্রুত পুনরুদ্ধার করবে বলে ধরে নিয়েছেন, তাঁরা ‘বড়ো হতাশা’র মধ্যে রয়েছেন। এমন মন্তব্যে রাহুল অথবা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢররা মতো কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্বই যে পিকে-র নিশানায় উঠে এসেছিল, সেটাও বেশ স্পষ্ট।প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর গত জুলাই মাসে প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে জোরালো জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সে সময় তিনি দিল্লিতে গিয়ে ‘গান্ধী’দের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক করছিলেন। এমনটাও শোনা যায়, আগামী বছর পাঁচটি রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। তার পর অবশ্য তিনি নিজেই জানিয়ে দেন, এই কাজ যথেষ্ট করেছেন, এ বার তিনি বিরতি নিতে চান।