কালিম্পংঃ রবিবার বিকেলে শিলিগুড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে পা দেবার আগেই পাহাড়ে রাজনৈতিক দেখা দিল জটিলতা। জিটিএ থেকে বেরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি কালিম্পংয়ের বিধায়কের রুদেন লেপচা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রুদেন লেপচা কালিম্পংয়ের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি প্রথমে বিমল গুরুং এর মোর্চায় থাকলেও পরবর্তী সময় অনীত থাপার তৈরি ভারতীয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায় যোগ দেন। ২২ মার্চ তার দু পাতা লেখা চিঠি থেকে জানা গেছে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য , জেলা পরিষদ গঠন করা হোক।যদিও পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য গঠিত হয়েছিল গোর্খা টেরিটরিয়াল আডমিনিস্ট্রেশন (জি টি এ)। অপরদিকে ২০১৭ সালে -পাহাড়ের উন্নয়নের স্বার্থে দার্জিলিং থেকে আলাদা করে কালিম্পংকে আলাদা জেলার মর্যাদা দেওয়া হয়।পাশাপাশি আলাদা জেলা হিসেবে ঘোষনা হলেও কালিম্পংকে জিটিএ তে রাখা হয় । মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন লেপচার সেকথা উল্লেখ করে জানান, পৃথক জেলা তৈরির পর উন্নয়ন নিয়ে অনেক আশা ছিল তাদের । কিন্তু গত ৫ বছরে তেমন কোন উন্নয়ন না হওয়ায় তাঁরা আশাহত হয়েছেন। তাই জিটিএ-তে আর থাকতে চায় না কালিম্পং। বরং জেলা পরিষদ গঠন করে উন্নয়নে জোর দেওয়া হোক বলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে দাবি জানিয়েছেন।যদিও বিধায়ক রুদেন লেপচা জানিয়েছেন, জিটিএ থেকে বেরিয়ে কালিম্পঙে জেলা পরিষদ গঠনের দাবি একান্তই তাঁর নিজস্ব। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর এই পদক্ষেপ, এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।অপরদিকে আজই ৫ দিনের সফরে পাহাড় সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিং এ জিটিএ’র বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। জিটিএ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে তার। তারই মাঝে কালিম্পং এর বিধায়ক রুদেন লেপচার এই চিঠি নতুন করে কি পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকে তাকিয়ে পাহাড়বাসি