
ব্রুসেলা নামক ব্যাকটেরিয়া থেকেই ব্রুসেলোসিস ছড়ায় । সংক্রমিত পশুর দুধ না ফুটিয়ে খেলে, কিংবা তাদের মাংসে হাত দিলে বা পশুপালনের সময় মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। ব্রুসেলোসিসের প্রাথমিক উপসর্গ করোনার মতোই। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, দুর্বলতা, পেশিতে ব্যথা, শিরদাঁড়ায় ব্যাথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা ও মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। প্রথমে রোগ নির্ণয় না হলে পরে ক্রমশ অঙ্গ বিকল হতে থাকে। তার জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।এবার রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে ব্রুসেলোসিস আক্রান্তের সংখ্যা। একটি বা দুটি নয়, একাধিক জেলায় পরপর ছড়িয়ে পড়েছে সেই রোগ। স্বাস্থ্য দফতর সেই উদ্বেগকেই কার্যত মান্যতা দিল। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, রামপুরহাট, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা এবং বসিরহাটের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্রুসেলোসিসের চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।