নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): নিজের বাড়িতে খুন হয়েছেন কর্নাটকের খনি ও ভূতত্ত্ব দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর প্রতিমা কেএস। উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্যে। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন এক গাড়ি চালককে সোমবার গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সরকারি দপ্তরের গাড়ি চালাত ওই যুবক। দিন দশেক আগেই ডেপুটি ডিরেক্টর প্রতিমার নির্দেশে চুক্তি ভিত্তিক ওই চালককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। একটি সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, বরখাস্ত হওয়ায় বদলা নিতেই প্রতিমাকে হত্যা করেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে নিজের বাসভবনেই খুন হন কর্নাটকের খনি ও ভূতত্ত্ব দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর প্রতিমা কেএস। সেই রাতে বাড়ি ছিলেন না তাঁর স্বামী ও ছেলে। সেই সুযোগেই প্রতিমাকে খুন করা হয়। বিছানার উপর পড়ে রয়েছে দেহ। সারা শরীর ছুরির কোপে ক্ষতবিক্ষত। গলাও ফালাফালা করে কাটা। রক্ত গড়িয়ে বেরিয়ে এসে শুকিয়ে গেছে ততক্ষণে।ঘরে ঢুকেই এই দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিলেন তাঁর ভাই। দিদির নিথর দেহ পড়ে রয়েছে বিছানার উপর, প্রাথমিক সেই ধাক্কা সামলে ওঠার পরেই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন তিনি।
৪৫ বছরের প্রতিমা কর্নাটক সরকারের একজন কর্মী। পেশায় জিওলজিস্ট প্রতিমা বেঙ্গালুরুর সুব্রহ্মনিয়াপুরা এলাকায় থাকতেন। গত ৫ বছর ধরে তাঁর গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করত কিরণ নামে এক যুবক। চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মী ছিল সে। তবে সপ্তাহখানেক আগে তাকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রতিমা। তার জায়গায় নতুন ড্রাইভার রেখেছিলেন। সেই রাগই পুষে রেখেছিল কিরণ। তখন থেকেই মনিবকে খুন করার ছক কষে রেখেছিল সে।
সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিসেই ছিলেন প্রতিমা। তারপর ৮টা নাগাদ নতুন ড্রাইভার গাড়ি চালিয়ে তাঁকে বেঙ্গালুরুর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। তারপর থেকে রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
কিরণকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। শুধু চাকরি ছাড়ানোর আক্রোশ, নাকি খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।