নিজস্ব প্রতিনিধি(দেবযানী): চার পুরনিগমের ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস । এর মধ্যে বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোলে গতবারও শাসকদল বোর্ড করেছে। তবে এবার নতুন করে শিলিগুড়ি পুরনিগম দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । আর এই জয়ের পর টুইটে করে বিজয়ীদের এবং সাধারণ মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।পরপর করা দু’টি টুইটের প্রথমটিতে তিনি লেখেন, ‘আবারও মা, মাটি, মানুষের অপ্রতিরোধ্য জয়। আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরের জনগণকে পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূলপ্রার্থীদের উপর তাঁদের আস্থা রাখার জন্য আমরা আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’দ্বিতীয় টুইটে মমতা লিখেছেন, ‘আমরা আমাদের উন্নয়ন কাজকে আরও উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মা, মাটি, মানুষের প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল।’এই প্রথম শিলিগুড়িতে পুরবোর্ড গঠন করবে তৃণমূল। সোমবারই উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মমতা। শিলিগুড়ি জয়ে যে তিনি খুশি, সে কথাও জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। ২০১০ এবং ২০১৫ সালে অল্পের জন্য শিলিগুড়ি পুরসভা তৃণমূলেরহাতছাড়া হয়েছিল। এ বার শিলিগুড়ি পুরসভায় শাসকশিবিরের জয়ে একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে বলেই মনে করছেন মমতা। তিনি যে সে কারণে বেশি খুশি, তা-ও জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকালেও দেখা যাবে, উত্তরের এই শহরের পুরনিগমের প্রায় সব ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার বদলে গেল সেই ছবিটা। শিলিগুড়িতে ৪৭টি আসনে মধ্যে ৩৭টি তৃণমূলের দখলে। এমন ফলাফলের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দেন, দার্জিলিং, শিলিগুড়ির জন্য যে কাজ করার কথা ছিল, বিজেপি তা করেনি। উত্তর আর দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতেও কোনও কাজ করেনি ওরা। এরপরই বাকি পুরনিগম নিয়ে যোগ করেন, “দক্ষিণবঙ্গের কথা তো ছেড়েই দিন। যা করেছি আমরাই।”বিজেপির পাশাপাশি মমতা একহাত নেন সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও।