নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): অপর্যাপ্ত বৃষ্টি৷ তার উপরে আখের ফলন কম৷ তার জেরে আসন্ন ২০২৩-২৪ মরসুমে দেশে কমতে পারে চিনির উৎপাদন৷ তার জেরেই এবার বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷বিশ্লেষকেরা জানাচ্ছেন, চিনির উৎপাদন ৩.৩ শতাংশ কমে দাঁড়াতে পারে ৩১.৭ মিলিয়নে৷ যার ফলে চিনির দাম বেশ খানিকটা বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
বৃষ্টির অভাবে দেশের শীর্ষ আখ উৎপাদনকারী অঞ্চল যেমন, মহারাষ্ট্রে এবং কর্ণাটকে তেমন ফলন হয়নি৷ এই সমস্ত রাজ্যে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমেছে চলতি বছরে৷বর্তমানে ভারতে খাদ্যদ্রব্যের উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে৷ গত জুলাই মাসে খুচরো মূলস্ফীতি গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭.৪ শতাংশে পৌঁছেছে৷ খাদ্য মূল্যস্ফীতি পেয়েছে ১১.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে৷ এটি গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে৷ আপাতত, দেশের আভ্যন্তরীণ জোগানের দিকেই গুরুত্ব দিতে চাইছে কেন্দ্র৷ ফলত, আগামী মরসুমে চিনি রফতানি নিষিদ্ধ করতে পারে ভারত৷
আগামী অক্টোবর থেকে ভারতে নতুন মৌসুম শুরু হতে চলেছে এবং সেই সময় থেকেই মিলগুলোর ওপর চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে।আর তেমনটি হলে গত সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ভারতের বাইরে দেশটির চিনির চালান বন্ধ হয়ে যাবে।
বিশ্ববাজারে ভারতের চিনির অনুপস্থিতি এই পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। যা বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাজারে আরও মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি করছে।ভারত চিনি রপ্তানি বন্ধ করলে বিশ্ব বাজারে, যেমন নিউইয়র্ক ও লন্ডনে চিনির দাম আরও বাড়তে পারে এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাজারে আরও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি করবে।