নিজেদের ঘরের জানালায় দাঁড়িয়ে বিল্ডিং নিচে হইহুল্লা শুনতে গিয়ে কাল হয়ে দাঁড়ালো । পুলিশ এর ছোড়া বুলেট সামির (১১) চোখ দিয়ে মাথার খুলি ভেদ করে বেরিয়ে যায় । নিজের প্রিয় ঘরেই মৃত্যু হয় ছোট্ট শিশু সামিরের। সে বোঝে না কোটা সংস্কার আন্দোলন কি ? জানেনা তার প্রিয় দেশে বাংলাদেশ কোনো দিন শিশুদের উপযোগী বাসস্থান ছিল কিনা আদেও? ঢাকা মিরপুরে কাফরুল থানার সামনে সড়কে আন্দোলন কারিদের লক্ষ্য করে বাংলাদেশ পুলিশ এর ছোড়া গুলিতে মেঝেতে লুটিয়ে পড়া সামিরের প্রাণ । “জানালায় দাঁড়াতেই গুলি এসে কেড়ে নিল আমার ছেলকে ওরা” বাবা সাকিবুর রহমান মা ফারিয়া ইবনাত এর চোখের জল আর চিৎকার করে বলা কথা গুলো শুনে আমাদের তথ্য দাতাও নিস্তব্ধ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এমন মর্মান্তিক মৃত্যু থেমে যায়নি সেদেশের পুলিশ এর গুলি। গত শুক্রবার ১৯ জুলাই কেড়ে নিয়েছে বাসার ছাদে খেলা করা ছোট্ট শিশু রিয়া গোপের ( সাড়ে ছয় বয়স) প্রাণ। নারায়ণগঞ্জ সদরের নয়ামাটি এলাকায় চরতলার উপরের তলায় থাকতো রিয়া গোপ আর প্রিয় বাবা দীপক কুমার গোপ মা বিউটি ঘোষ। দিপক ও বিউটি ঘোষ এই দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিল রিয়া গোপ। চারতলার ছাদে নিজ ধ্যানে খেলছিল অবুঝ শিশু রিয়া গোপ। কোটা আন্দোলনের উত্তাপে উত্তাল যখন সারাদেশ নারায়ণগঞ্জ নয়ামাটি এলাকাতেও চলছিল তখন আন্দোলন কারিদের লক্ষ্য করে গুলি ককটেল ছোড়ার নিয়ে পুলিশ যখন ব্যাস্ত। তখন এই বেপরোয়া পুলিশের গুলির হাতে থেকে নিজের কলিজা টুকরো রিয়া কে ছাদে খেলা থেকে বিরত করে বুকের মধ্যে তুলে নেন বাবা দীপক কুমার। বাবার বুকের মধ্যে থেকে কেড়ে নিল পুলিশ এর গুলি রিয়ার প্রাণ । মেয়ের এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা বাবা বিভিন্ন মেডিকেল ছুটে চলেছিলেন কলিজার টুকরো সন্তানকে বাঁচাতে । পারলেন না তবুও বাঁচাতে এমন মর্মান্তিক হৃদয় বিদারক ঘটনায় রিয়ার খালু রাজেশ ঘোষ বলেন” বাবার কোলেই গুলি বিদ্ধ হয় মেয়েটা এর চেয়ে কস্টের আর কি হতে পারে”। এক মাত্র মেয়েকে হারানোর শোকে পাথর হয়ে গেছেন মা বিউটি ঘোষ ও বাবা দীপক কুমার গোপ। মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে রিয়ার বাবা মা হাউ হাউ করে কেঁদে উঠছেন বারে বার দুজনে মুর্ছা যাচ্ছেন বারেবার। এই পরিস্থিতি সকালের চোখে জল আর বুক চাপড়ানো চাপা কস্ট শেখ হাসিনা দেখতে পাবেনা বলেও প্রতক্ষ্যদর্শীরা মন্তব্য করেন।