*পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর, হুগলি, আরামবাগ এবং হাওড়ায় আয়োজিত বিশাল জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া ভাষণের মূল বিষয়গুলি*
টিএমসির সময় শেষ হয়ে গেছে । বাম, কংগ্রেস বা তৃণমূল যাই হোক না কেন, তারা বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাদের হারাতে প্রস্তুত। এখানে বিজেপির প্রতি অভূতপূর্ব উৎসাহ ও সমর্থন রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এবার জয়ের নতুন গল্প লিখবে বিজেপি।
*********
কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের দলগুলি পূর্ব ভারতকে পিছিয়ে রেখেছিল। ২০১৪ সালে, আপনি মোদীকে একটি সুযোগ দিয়েছিলেন এবং মোদী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি দেশের পূর্বাঞ্চলকে বিকশিত ভারতের গ্রোথ ইঞ্জিনে পরিণত করবেন। এখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রতিটি দেশবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।
*********
একটা সময় ছিল যখন বাংলায় বড় বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হতো। আজ, টিএমসি শাসনের অধীনে, অনেক জায়গায় বোমা তৈরির হোম ইন্ডাস্ট্রি খুলেছে। আগে বাংলায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিপ্লব হত। আজ, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা এখানে টিএমসির সুরক্ষায় ফুলে-ফেঁপে উঠছে।
*********
টিএমসি-কংগ্রেসের ইন্ডি জোট তোষণের এবং ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তৃণমূল বিধায়ক বললেন, ভাগীরথীতে ডুবে যাবে হিন্দুরা! ভাবুন! এত সাহস! এই লোকজনেরা বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়েছে।
*********
ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিতে সিএএ-র মতো মানবিক আইনকেও এরা খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করেছে। সিএএ আইন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, এটি কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, কিন্তু কংগ্রেস-টিএমসির মতো দলগুলি তাদের মিথ্যা দিয়ে এটাকে ভরিয়ে দিয়েছে।
*********
পাটের এই জমিতে টিএমসি শুধুই মিথ্যে বলে যাচ্ছে। দল হিসেবে টিএমসি কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত তার একটি বড় উদাহরণ হল শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি। টিএমসি সরকার অ্যাসপিরেশনাল ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম কর্মসূচি বয়কট করেছে। টিএমসি সরকার এসসি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন দেখে বিরক্ত, সেইজন্য তারা আপনাকে এগিয়ে যেতে দিচ্ছে না।
*********
সন্দেশখালির অপরাধীকে প্রথমে বাঁচিয়েছিল টিএমসি পুলিশ। এখন টিএমসি একটি নতুন খেলা শুরু করেছে। তৃণমূলের গুন্ডারা সন্দেশখালির বোনদের ভয় দেখাচ্ছে। শুধুমাত্র নির্যাতনকারীর নাম শাহজাহান শেখ বলে।
*********
মোদী বলেন- প্রতিটি ঘরে জল আর টিএমসি বলেন- প্রতিটি ঘরে বোমা। আমি আপনার সন্তানদের জন্য একটি বিকশিত ভারত তৈরি করতে চাই। অন্যদিকে, টিএমসিকে দেখুন … এরা কেবল আপনাকে লুটপাট করতে ব্যস্ত। তারা তাদের উত্তরাধিকারীদের জন্য বাংলো ও প্রাসাদ নির্মাণ করছে।
*********
তৃণমূলের লোকেরা মনে করে যে বাঙালি সংস্কৃতিতে তাদের একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতাটা কি? এটি মা দুর্গা ও মা কালীর ভূমি। কিন্তু এখানে মানুষের বিশ্বাসের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। রাম মন্দিরের নাম নেওয়াও এখানে অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
*********
টিএমসি যেভাবে বাংলাকে লুট করছে তা মহাপাপ। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি, পঞ্জি কেলেঙ্কারি, কয়লা কেলেঙ্কারি, চিটফান্ড কেলেঙ্কারি, রেশন কেলেঙ্কারি, লম্বা তালিকা। টিএমসি আমাদের অন্যদাতা কৃষকদেরও ছাড়েনি। টিএমসির লোকেরা বাজারে ধান চাষিদেরও লুট করছে।
*********
আপনি যদি কংগ্রেসের দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, তোষণ এবং বামদের অত্যাচার ও নৈরাজ্যকে একত্রিত করেন, সব মিলে হবে টিএমসি। টিএমসি দুর্নীতিকে তার ফুল টাইম ব্যবসায় পরিণত করেছে। ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য কংগ্রেস, বাম ও টিএমসি বাংলারকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, রবিবার পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর, হুগলি, আরামবাগ এবং হাওড়ায় আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়, মমতার তৃণমূল সরকারের তোষণ ও দুর্নীতিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন এবং বিজেপি সরকারের কল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কাজগুলিকে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শ্রী সুকান্ত মজুমদার, ব্যারাকপুর লোকসভা প্রার্থী শ্রী অর্জুন সিং, হুগলী লোকসভা প্রার্থী শ্রীমতি লকেট চট্টোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর লোকসভার প্রার্থী শ্রী কবির শঙ্কর বোস, আরামবাগ লোকসভার প্রার্থী শ্রী অরূপ কান্তি দিগার, উপস্থিত ছিলেন হাওড়া লোকসভার প্রার্থী শ্রী রথীন চক্রবর্তী এবং উলুবেড়িয়ার লোকসভা প্রার্থী শ্রী অরুণ উদয়পাল চৌধুরী এবং অন্যান্য নেতারা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন দেশের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার নির্বাচন এবং দেশের আশীর্বাদ কেবল বিজেপির কাছেই রয়েছে। ২০২৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি ২০১৯-এর সাফল্যের চেয়ে বড় সাফল্য পেতে চলেছে। দেশ গত ১০ বছরে দেশ দেখেছে মোদীর শক্তিশালী সরকারই দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করছে । তিন দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামীকাল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তিন দফা নির্বাচনের পরে, আমি আজ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং এনডিএ 4০০ পেরিয়ে যাবে। এখন ৪০০ পার এই স্লোগান নয়, বরং ৪০০ পার দেশের কোটি কোটি মানুষের সংকল্পে পরিণত হয়েছে। এই নির্বাচনে কংগ্রেস তার শাহজাদার বয়সের চেয়ে কম আসন পেতে চলেছে। জনগণ যখন একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করে, তখন সারা বিশ্বে ভারতের শক্তি দেখতে পায়।
শ্রী মোদী বলেছেন যে জীবনে নির্বাচন আসে এবং যায়, কিন্তু এই ভালবাসা এবং আশীর্বাদগুলি অমরত্ব নিয়ে আসে। গরীব, দলিত, পিছিয়ে পড়া ও আদিবাসীদের সেবা করার জন্য ভগবান মোদীকে জন্ম দিয়েছেন। আগেকার দিনে দলগুলো জনগণের ভোট নিত, কিন্তু সরকার গঠনের পর তাদের ভাষা বদলে যেত। মোদী এই চিন্তাভাবনা এবং পদ্ধতির পরিবর্তন করেছেন। এখন কেন্দ্রের মোদী সরকার প্রতিটি দেশবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ পূর্ব ভারতের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মোদীর মিশন, তাই বাংলা বলছে, “ফের একবার মোদী সরকার”। কংগ্রেস পরিবার স্বাধীনতার পর ৫০ বছর ধরে সরকার পরিচালনা করেছে, কিন্তু তাদের শাসনকালে পূর্ব ভারত শুধু দারিদ্রতা এবং অভিবাসন পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ অত্যন্ত শক্তিশালী রাজ্য। এই রাজ্যগুলিতে খনি, কয়লা, সমুদ্র বন্দর এবং পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও, কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের দলগুলি পূর্ব ভারতকে পিছিয়ে রেখেছিল। কিন্তু মোদী দেশের পূর্বাঞ্চলকে বিকশিত ভারতের গ্রোথ ইঞ্জিনে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। আজ, পূর্ব ভারতে রেল, সড়ক, বিমানবন্দর এবং জলপথের একটি আধুনিক নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। ডেডিকেটেড মালবাহী করিডোর এই অঞ্চলে শিল্পায়ন বাড়িয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে গ্যাস পাইপলাইনের যে নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে তা শিল্পকে সাহায্য করতে চলেছে। বিজেপি সরকার এখানে বন্ধ থাকা সার কারখানা আবার চালু করেছে। আগামী ৫ বছর পশ্চিমবঙ্গ এবং এর আশেপাশের রাজ্যগুলির উন্নয়নের জন্য উত্সর্গীকৃত হবে। বাংলার ব্যারাকপুরের এই জমিটি একটি ইতিহাস তৈরির জমি, কিন্তু টিএমসি তার হাল বেহাল করে দিয়েছে। এক সময় ব্যারাকপুর বাংলার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে একটি বড় অবদান রাখত, কিন্তু আজ টিএমসি এটিকে কেলেঙ্কারীর আস্তানায় পরিণত করেছে। একটা সময় ছিল যখন বাংলায় নিত্য নতুন বিজ্ঞানের আবিষ্কার হত, কিন্তু আজ টিএমসির শাসনে অনেক জায়গায় বোমা তৈরির গৃহশিল্প চলছে। আগে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিপ্লব হত, কিন্তু আজ অনুপ্রবেশকারীরা এখানে তৃণমূলের আশ্রয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠছে। কংগ্রেসের দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্রী, তোষণ এবং বামপন্থী অত্যাচার ও নৈরাজ্য এই সবকে একত্রিত করলেই তখন টিএমসি গঠিত হয়। আজ টিএমসিতে লুটপাটের দুটি বিভাগ চলছে, টিএমসি নেতাদের কাজ কেলেঙ্কারি করা এবং টিএমসির প্রশিক্ষিত গুন্ডাদের কাজ হল মানুষের জমি দখল করা। টিএমসি কেলেঙ্কারিকে তার পুরো সময়ের ব্যবসায় পরিণত করেছে। ইন্ডি জোটের বেশিরভাগ দল গোপনে কেলেঙ্কারী করে, কিন্তু টিএমসি কেলেঙ্কারির একটি খোলা শিল্প চালায়। তৃণমূলের দুর্নীতিবাজ নেতারা বহুদূরে ছড়িয়ে আছে, আর তৃণমূল সরকার তাদেরও রক্ষা করছে। টিএমসি সরকার কেন্দ্রীয় স্কিমগুলি লুট করার উপায় খুঁজে বেরায়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অর্থ তারাই পায় যারা টিএমসির সাথে যুক্ত বা যারা কাটমানি দেয়। বিজেপি জলজীবন মিশনের অধীনে প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু বাংলা সরকার তাতেও দুর্নীতি করছে। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য গরিব মানুষকে জলের জন্য আকুল করে গরিবদের অধিকার হরণ করছে। দেশে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে তোষণের প্রতিযোগিতা চলছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার মাটি মা দুর্গা ও মা কালীর ভূমি, কিন্তু এখানে মানুষের বিশ্বাসের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। যদি টিএমসির উপায় থাকে তাহলে দেখা যাবে এরা বাবা তারকেশ্বরের ধামকেও নিষিদ্ধ করবে। বাংলার এই ভূমি গুরদেব রবি ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও সত্যজিৎ রায়ের ভূমি, কিন্তু তৃণমূলের শাসনকালে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। বাংলায় বিরোধী, সচেতন নাগরিক ও স্বাধীন কণ্ঠকে দমন করা হচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মজার কার্টুন পোস্ট করার জন্য মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। যদি তৃণমূলের লোকদের উপায় থাকে, তাহলে রাজা রামমোহন রায়ের নাম থেকেও রাম বাদ দিয়ে দিত । যে ভূমি আমাদের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতা দিয়েছিল সেও আজ ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণে সমস্যায় পড়েছে। টিএমসি সরকার এসসি সম্প্রদায়ের উন্নয়নকে সাংবিধানিক করে তোলে, তাই এরা আপনাকে এগিয়ে যেতে দেয় না, যেখানে বিজেপি সরকার এসসি সম্প্রদায়ের স্বার্থকে সাংবিধানিক করে তোলে। কংগ্রেস তার ইস্তেহারে সরকারি চুক্তি থেকে খেলাধুলা পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণের কথা বলেছে। কিন্তু জনগণকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই, কারণ মোদী বঞ্চিতদের অধিকারের প্রহরী। বাংলার টিএমসি সরকার কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দেয়। ইন্ডি জোটের সরকাররা যে জেবলাগুলিকে পিছিয়ে পরা বলে ছেড়ে দিয়েছিল, আজ মোদি সেই ১১০টি জেলাকে উচ্চাকাঙ্খী জেলা বানিয়েছেন। একইভাবে মোদী সরকার উচ্চাকাঙ্খী ব্লক শুরু করেছেন। কেন্দ্রে যখন কংগ্রেস সরকার ছিল, তখন এসসি সম্প্রদায়ের কল্যাণে মাত্র ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ছিল। আজ বিজেপি সরকারের ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজেট এসসি সম্প্রদায়ের কল্যাণে।
শ্রী মোদী বলেন, আজ পশ্চিমবঙ্গে নিজের ধর্মবিশ্বাসকে অনুসরণ করাও অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলার টিএমসি সরকার শ্রী রামের নাম নিতে দেয় না, রামনবমী উদযাপন করতে দেয় না। কংগ্রেস ও বাম দলগুলি রাম মন্দিরের বিরুদ্ধে কথা বলে। কংগ্রেসের ইন্ডি জোট তোষণ ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ইন্ডি জোটের নেতারা মোদীর বিরুদ্ধে ভোট জিহাদের কথা বলছে। পশ্চিমবঙ্গে মাফিয়া শাসন চলছে। মোদী প্রতিটি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু টিএমসি বোমার কথা বলে। কয়েকদিন আগে বোমা বিস্ফোরণে শিশুরা প্রাণ হারায়। বাংলায় একটি আসনও জেতার অধিকার তৃণমূলের নেই। বাংলার তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, হিন্দুদের ভাগীরথী নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হবে। কার সমর্থনে এই লোকেরা এত সাহস পাচ্ছে? বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়েছে টিএমসি। তোষণের রাজনীতির জন্য ইন্ডি জোট এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের দেওয়া সংরক্ষণও কেড়ে নিতে চায়। ইন্ডি জোটের নেতারা মুসলমানদের সম্পূর্ণ সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলছেন। কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার ওবিসিদের সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে দিয়েছে। এই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্যই সিএএ-র মতো মানবিক আইনকেও এরা ভুল ব্যাখ্যা করছে। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। কিন্তু টিএমসি এবং কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দলগুলি জনগণকে মিথ্যা কথা বলে ভুল বোঝাচ্ছে। ইন্ডি জোটের নেতারা মতুয়া ও নমশূদ্রদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে। ইন্ডি জোট সিএএ আইন বাতিলের কথা বলছে। মোদী বাংলাকে ৫টি গ্যারান্টি দিচ্ছেন। ১. যতদিন মোদী থাকবেন, ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া হবে না। ২. যতদিন মোদী থাকবেন, ততদিন কেউ এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের এর সংরক্ষণ শেষ করতে পারবে না। ৩. যতদিন মোদী থাকবেন, কেউ রাম নবমী উদযাপন এবং ভগবান শ্রী রামের পূজা বন্ধ করতে পারবে না। ৪. যতদিন মোদী থাকবেন, রাম মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত কেউ বাতিল করতে পারবে না। ৫. যতদিন মোদী থাকবেন, ততদিন কেউ সিএএ আইন বাতিল করতে পারবে না। দেশবাসী জানে মোদীর গ্যারান্টি মানেই গ্যারান্টি পূরণ হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে আমাদের দেশে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যতের জন্য কিছু রেখে যেতে চায়। কিন্তু মোদির উত্তরাধিকারী তো ভারতের দেশবাসীরাই, তারাই মোদীর পরিবার এবং দেশের জনগণ ছাড়া আমার কেউ নেই। তাই পরিবারের প্রধান হিসেবে আমিও একটি বিকশিত ভারতকে জনগনকে দিতে চাই। কিন্তু তৃণমূল ও অন্যান্য বিরোধী দল দেশের মানুষকে লুট করতে ব্যস্ত। তারা তাদের উত্তরাধিকারীদের জন্য বাংলো ও প্রাসাদ নির্মাণ করছেন। কিন্তু মোদী তার গরিব দেশবাসীর জন্য ৪ কোটি পাকা বাড়ি তৈরি করেছেন এবং আগামী সরকার আরও ৩ কোটি নতুন বাড়ি তৈরি করবে। বাংলায়, ১.২৫ কোটি মা-বোনকে উজ্জ্বলা সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। আজ প্রতিটি গর্ভবতী মহিলাকে পুষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৬০০০ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। চাকুরীজীবী গর্ভবতী মহিলাদের ছুটিও বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করা হয়েছে। মোদী এখন গ্যারান্টি দিচ্ছেন, দেশের ৩ কোটি মহিলাকে লাখপতি দিদি করতে চান। মোদী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের স্বাবলম্বী করছেন, নমো ড্রোন দিদি স্কিমের মাধ্যমে মহিলাদের ড্রোন পাইলট বানানোর কাজ শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর বিনামূল্যে বিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল শূন্যে নামিয়ে আনার কাজ করছেন এবং এটি থেকে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ আপনার আয়ের উত্সও হবে। পরিবারগুলিও তাদের বৈদ্যুতিক গাড়িগুলিকে এই থেকে উত্পাদিত বিদ্যুতে চার্জ দিতে পারে, তাতে পেট্রোল বিলও শূন্য হয়ে যাবে, তিনগুণ লাভ হবে এতে।
শ্রী মোদী বলেন, ব্যারাকপুর পাট শিল্পের কেন্দ্রস্থল। কৃষির পাশাপাশি এখানে তুলা, কাগজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পেরও বিকাশ হয়েছিল। কিন্তু পাট শিল্প আজ দুরবস্থায়, শ্রমিকদের দেখভাল করার কেউ নেই। পাটের নূন্যতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছে মোদী সরকার। পাট চাষীদের সুবিধার জন্য, বিজেপি সরকার শুধুমাত্র পাটের বস্তায় চিনি প্যাকিং করার নিয়ম করেছে। কিন্তু টিএমসি এখানে শুধুই মিথ্যে বলছে। বাংলার মানুষ চোর ধরো জেল ভরো স্লোগান দিচ্ছে। কয়েক বছর আগে, টিএমসি সরকারের অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ব্যয় করা ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার কোনও হিসাব নেই এবং এটি একটি বড় কেলেঙ্কারি। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি টিএমসির দুর্নীতির আরেকটি উদাহরণ। এই কেলেঙ্কারির জন্য ভুয়ো ইন্টারভিউও নেওয়া হয়েছিল। তাদের দুর্নীতিতে আদালতকেও বলতে হয় এই কেলেঙ্কারির পেছনে সরকারি ব্যবস্থাও যুক্ত। মোদী বাংলায় এই লুটপাটের প্রতিটি টাকার হিসাব নেবেন। এবং যাদের বাড়ি থেকে নোটের পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, সেসব দুর্নীতিবাজদের রেহাই দেওয়া হবে না। দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে উদ্ধার করা কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের ফেরত দেওয়ার জন্য উপায় খোঁজা হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিএমসি বাংলাকে লুটপাট করে মহাপাপ করেছে। তৃণমূলের দুর্নীতির তালিকা অনেক লম্বা। টিএমসি সরকার দেশের কৃষকদেরও রেহাই দেয়নি। তৃণমূলের লোকেরা ধান চাষীদের থেকেও লুট করে। কিন্তু বিজেপি সরকার কর্তৃক প্রেরিত প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির টাকা পেয়ে কৃষকরা স্বস্তি পেয়েছেন। মোদী সরকার ইথানল এবং বায়ো ফুয়েল প্ল্যান্টও স্থাপন করছে, যা ধান চাষীদেরও উপকৃত করবে। বিজেপি সরকার শস্য সংরক্ষণের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম প্রকল্প চালু করেছে এবং শীঘ্রই আলু, পেঁয়াজ এবং টমেটোর জন্য বিশেষ ক্লাস্টার তৈরি করবে। যা থেকে সরাসরি উপকৃত হবেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। আজ বাংলায়ও রেলের সম্প্রসারণ ও বিস্তার নিয়ে কাজ চলছে। হুগলি নদীতে দেশের প্রথম আন্ডারওয়াটার মেট্রো শুরু হয়েছে। প্রথমে কংগ্রেস, তারপর বামপন্থীরা এবং তারপর তৃণমূল এরাজ্যে সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ বিজেপি মেক ইন ইন্ডিয়ার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। কিন্তু টিএমসি ব্রেক ইন ইন্ডিয়ার ভাবনাচিন্তা নিয়ে চলে। রাম মন্দির তৃণমূল নেতাদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। তারা রামমন্দির বয়কট করেছে। যে রাম মন্দিরের জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা ৫০০ বছর ধরে লড়াই করেছিলেন, তাদের আত্মা আপনাদের এইসব অন্যায় দেখছেন। তৃণমূল ও কংগ্রেস তাদের পূর্বপুরুষদের ত্যাগ, তপস্যা ও আত্মত্যাগকে অপমান করার কাজ করেছে। ভগবান রামকে বয়কট করা বাংলার সংস্কৃতি নয়। আমার বাংলা এমন নয়। যে দল মা মাটি-মানুষের কথা বলে সরকারে এসেছিল, তারাই আজ ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে বাংলার নিজেদের ঐতিহ্যকেও অপমান করছে। টিএমসি আজ যতগুলো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, তারা বিরোধী দলেও জায়গা পাবে না, আর কংগ্রেস-বামেদের দেওয়া ভোটও নষ্ট হবে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অত্যাচার আমাদের মা-বোনদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এসসি ও এসটি পরিবারের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ এখানে। সন্দেশখালির অপরাধীকে প্রথমে টিএমসির পুলিশ বাঁচিয়েছিল, আবার এখন নতুন খেলা শুরু করেছে টিএমসি। সন্দেশখালির মহিলাদের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা। শাহজাহান শেখের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে তৃণমূল তাকে ক্লিনচিট দেওয়ার চেষ্টা করছে। একটি বিকশিত ভারতের জন্য একটি বিকশিত বাংলা গড়ার প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি বিজেপির সমস্ত স্থানীয় লোকসভা প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে বিজয়ী করার জন্য এবং দেশে পুনরায় বিজেপি সরকার গঠনের আবেদন করেন উপস্থিত জনগণের কাছে।