দালালি বন্ধ করুন, নইলে তল্পি গোটাতে বাধ্য করবো, থানার ওসিকে হুমকি ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুনের রাজেন্দ্র নাথ দত্ত :মুর্শিদাবাদ :তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রস্তুতি কর্মিসভায় নয়া বিতর্কে মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভরতপুর থানার ওসি-কে পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য করার হুমকি দিলেন প্রকাশ্যেই।মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে তৃণমূলের এক প্রস্তুতি কর্মিসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ভরতপুর থানার ওসি রাজু মুখোপাধ্যায়কে হুমকি দেন। হুমায়ুন কবীর বলেন, টারজেনকে ওসি ফোন করেছিল। আমি টারজেনকে পরিষ্কার বলে দিয়েছি, যদি ভরতপুরের ওসি থাকার ইচ্ছে থাকে, ওসি-কে বলো দালালি বন্ধ করতে। আর তা না হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এখান থেকে পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য করব। থানার সামনে গিয়ে বসব টেবিলে পায়ের উপর পা দিয়ে। তখন ঠিক বুঝতে পারবে হুমায়ুন কবীর কী জিনিস! অটোমেটিক তুমি ছেড়ে চলে যাবে।এই প্রথম নয়, বার বার এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন ভরতপুরের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর । তাঁর এই মন্তব্যের জেরে যথারীতি মুর্শিদাবাদে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। সিপিএম, বিজেপি-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, এ ভাবেই পুলিশকে হাতের পুতুলে পরিণত করেছে শাসক দল। হুমায়ুন যা বলেছেন, দলের নেতৃত্বও সেই পথেই ভাবেন বলে দাবি বিরোধীদের। তাই এই হুমকিকে একা হুমায়ুনের বললে ভুল করা হবে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।১৯৮২ সাল থেকে মুর্শিদাবাদে রাজনীতি করছেন হুমায়ুন। ২০১১ সালে রেজিনগর থেকে প্রথম বার বিধায়ক হন। তিন দশক কংগ্রেস করার পর অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ছায়াসঙ্গী হুমায়ুন দল ছাড়েন ২০১২ সালে। কিন্তু উপনির্বাচনে হেরে যান কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে। তার পর তৃণমূল ছেড়ে আবার ফেরেন কংগ্রেসে। ২০১৮ সালে দিল্লিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দেন হুমায়ুন। ২০১৯-এর লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়েন এবং হারেন। বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে আবার তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি। একুশের নীলবাড়ির লড়াইয়ে হুমায়ুন ভরতপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে তিনি জেতেন কিন্তু বিতর্ক মন্তব্য তার পিছু ছাড়ে না।