নিজস্ব প্রতিনিধি সম্পা ঘোষ,মধ্যমগ্রাম, ১৪ এপ্রিল ২০২৫:
মধ্যমগ্রামের নজরুল শতবার্ষিকী সদনে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সমন্বয় কেন্দ্রের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো এক অনন্য সাহিত্য অনুষ্ঠান—“দুই হাজার বছরের সর্ববৃহৎ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও বিশেষ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান”। এই অনুষ্ঠান বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির পরিসরে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে রইল।
অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হলো এক বিশাল কাব্যগ্রন্থ, যা আকার ও সাহিত্যগুণে এক ব্যতিক্রমী সংযোজন। এই সাহিত্যযজ্ঞে সম্মান জানানো হয় বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজে অসামান্য অবদান রাখা ১০ জন কৃতী বাঙালিকে—‘সেরা বাঙালি সম্মান ২০২৫’ প্রদান করে। পাশাপাশি “আজকের নারী সম্মাননা”-য় ভূষিত হলেন বাংলার গর্বিত নারী প্রতিনিধি।
বিশেষ সম্মাননা “আজকের নারী সম্মান” লাভ করলেন:
শর্মিষ্ঠা রায় চৌধুরী – ২০২২ সালের মিস কলকাতা তিলোত্তমা খেতাবজয়ী, বর্তমানে Bengal Creative Club-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বাংলার শিল্প-সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরছেন। তাঁর এই অসাধারণ ভূমিকায় সম্মানিত করা হয় তাঁকে।
অথশ্রী বর্ধন – ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে সম্ভাবনাময় এক প্রতিভা, যাঁকে দেওয়া হলো আগামী ‘আজকের নারী সম্মান’।
‘সেরা বাঙালি সম্মান ২০২৫’-এ যাঁরা সম্মানিত হলেন:
১. সুরথ চক্রবর্তী – আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী ও শিক্ষাবিদ, যাঁর ক্যানভাসে বাংলার গর্ব ফুটে ওঠে।
২. তপন বন্দ্যোপাধ্যায় – বিশিষ্ট সাহিত্যিক, যাঁর লেখনী বাংলা সাহিত্যে চিন্তার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
৩. রাজীব সেন – বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ, যিনি নিরবিচারে সমাজ উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন।
৪. ড. চন্দ্রচূড় গোস্বামী – সমাজসেবায় নিবেদিত অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি।
৫. প্রদীপ কুমার বসু – সাহিত্যজগতে এক নিষ্ঠাবান সাধক, যাঁর সাহিত্যচর্চা প্রশংসিত।
৬. মল্লার ঘোষ – মার্গ সংগীতে পারদর্শী শিল্পী, যাঁর সংগীত দর্শনে তাল-লয়ের নিপুণ ব্যবহার শ্রোতাদের মোহিত করে।
৭. কার্তিক দেবনাথ – ত্রিপুরার খ্যাতিমান কবি, যাঁর কবিতায় লোকজ সংস্কৃতি ও মানবিক বোধ প্রকাশিত।
৮. সুভাস সিংহ রায় – জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী, বাংলার গানে যাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
৯. প্রবীর কুমার বিশ্বাস – বাস্তববাদী সাহিত্যিক, যাঁর লেখায় উঠে আসে সমাজের প্রতিচ্ছবি।
১০. তারিক চয়ন – বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার (কলকাতা), যাঁর কূটনৈতিক দূরদর্শিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অবদান বিশেষভাবে প্রশংসিত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক, শিল্পী ও সমাজকর্মীরা। এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং হৃদয়স্পর্শী সম্মাননা পর্বের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় এই গৌরবোজ্জ্বল সাহিত্য উৎসব।
এই সম্মাননা কেবল ব্যক্তি নয়, গোটা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিরও গৌরব।