নিজস্ব প্রতিনিধিপ্রেমের টানে স্বামী, সন্তান ছেড়ে ভিনদেশে পাড়ি দেওয়ার দুই ঘটনায় তোলপাড় ভারত এবং পাকিস্তান । পাক ‘বধূ’ সীমার পাশাপাশি উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা অঞ্জুর নাম। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে পাড়ি দেন তিনি। যদিও সেদেশে ভারতীয় বধূ পা রাখা মাত্র তাঁদের সম্পর্ক ঘিরে যাবতীয় গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি যুবক। কিন্তু নাটকীয় মোড় নিল ঘটনা। শেষ খবর, ধর্ম বদলে প্রেমিক নাসরুল্লাকে বিয়ে করলেন অঞ্জু।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাইবার পাখতুন প্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে নাসরুল্লা-অঞ্জুর বিয়ে হয়। বিয়ের আগে ধর্ম পরিবর্তন করা হয় উত্তরপ্রদেশের তরুণীর। নতুন নাম হয় ফতিমা। আপার দির জেলা আদালতের অনুমোদনে নাসরুল্লা-ফতিমার আইনি বিবাহও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার পর একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করেন তাঁরা। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানে একসঙ্গে ঘুরছেন যুগল। কিছু ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে তাঁদের।
মালাকান্দ ডিভিশন ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল নাসির মেহমুদ সাট্টি অঞ্জু এবং নাসরুল্লার বিয়ের বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছেন। তিনি এটাও জানান যে, অঞ্জু ধর্ম পরিবর্তন করেছেন। নিরাপত্তার কারণে অঞ্জুকে কড়া পুলিশি পাহারায় জেলা আদালত থেকে নতুন শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, অঞ্জুর জন্ম উত্তরপ্রদেশে। বিয়ের পর তিনি রাজস্থানের অলওয়রে থাকছিলেন। নাসরুল্লা (২৯) আর অঞ্জু (৩৪) ২০১৯ সাল থেকে ফেসবুকে বন্ধু। বন্ধুত্ব থেকেই প্রেম। এবং পাকিস্তানে পাড়ি। এক মাসের ভিসা নিয়ে সেদেশে প্রবেশ করেন। যার পর নাসরুল্লা দাবি করেছিলেন, “অঞ্জু পাকিস্তানে এসেছেন বটে। তবে আমাদের বিয়ে করার পরিকল্পনা নেই। উনি আমাদের বাড়ির মেয়েদের সঙ্গে আলাদা ঘরে থাকছেন। ২০ অগস্ট তাঁর ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে ভারতে ফিরেও যাবেন।” অঞ্জুর স্বামী অরবিন্দও আশাবাদী ছিলেন, স্ত্রী ঘরে ফিরবেন। যদিও নাটকীয় মোড় নিল কাহিনি। সম্পন্ন হল ইন্দো-পাক বিবাহ।