
নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার):ভোট পরবর্তী বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছিল। বৃহস্পতিবার গোয়া বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার প্রথমার্ধে বিজেপি-কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ছবি তার সঙ্গে মিলে গেলেও শেষমেশ এগিয়ে গেল গেরুয়া শিবিরই। ৪০ আসনের বিধানসভায় সরকার গঠনের ‘জাদু সংখ্যা’ ২১। সেই অঙ্কে না-পৌঁছলেও নির্দলদের সমর্থন তাদের সঙ্গে আছে দাবি করে গোয়ার রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি।বেলা তিনটে পর্যন্ত যা ফলাফল, তাতে গোয়ায় বিজেপি পেয়েছে ২০টি আসন। ‘জাদু সংখ্যা’-র থেকে মাত্র একটি কম। কংগ্রেস পেয়েছে ১১টি আসন। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি পেয়েছে ১টি আসন। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) পেয়েছে ২টি আসন। অরবিন্দ কেজরীবালের আপ পেয়েছে ২টি আসন। ৪টি আসন পেয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। তিন মাস আগে পদার্পণ-করা তৃণমূল একটি আসনও পায়নি। ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে যাচ্ছে, তাতে সরকার গঠনের বিষয়ে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই রাজ্যপাল পিএস শ্রীধরণ পিল্লাইয়ের কাছে যাচ্ছে বিজেপি।অন্যদিকে, মাত্র তিন মাস আগে গোয়ার ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল তৃণমূল। তবে বিজেপি এবং কংগ্রেসের লড়াইয়ের মধ্যে সৈকতরাজ্যে একটিও ঘাসফুল ফোটাতে পারলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্রেরা। তিন মাসের প্রস্তুতিতে ৫ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পেয়েছে গোয়া তৃণমূল। তবে তাদের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি) দু’টি আসন পেয়েছে। যাদের সমর্থনে গত বিধানসভা ভোটে সরকার গড়েছিল বিজেপি।গোয়ার ফলাফলের পর কলকাতায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘গোয়ায় আমরা সবেমাত্র পা রেখেছি। এই সামান্য সময়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা, দলের প্রতীক চেনানোই ছিল বড় কথা। সেটা আমরা সন্তোষজনক ভাবেই করতে পেরেছি।’’ কুণাল আরও বলেন, ‘‘পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর কংগ্রেসের উচিত আয়নায় নিজেদের মুখ দেখা!’’