নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): ভারতের দুঃখপ্রকাশেও সন্তুষ্ট নয় পাকিস্তান। পাক ভূখণ্ডে ভারতের মিসাইল আছড়ে পড়ার ঘটনার এবার যৌথ তদন্ত দাবি ইমরান খানের সরকারের। যদিও ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছে দিল্লি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে উচ্চপর্যায়ের তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে। তাতেও ক্ষোভ যায়নি ইসলামাবাদের।পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক একটি প্রেস বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ভারতীয় প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রেস বিবৃতিটি নোট করেছি। ৯ মার্চ ২০২২ তারিখে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের দুর্ঘটনাজনিত গুলিবর্ষণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখতে এবং একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’পাক বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই ঘটনা নিরাপত্তাজনিত দিকটি নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। দুর্ঘটনাজনিত বা অনুমোদনহীন ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণ নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং প্রযুক্তিগত সুরক্ষা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করে দিয়েছে। এই ধরনের গুরুতর বিষয়ের সরল ব্যাখ্যা দিয়ে সমাধান করতে পারে না ভারত।’ মিসাইল উত্ক্ষেপণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে এই ঘটনার বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা এবং পদ্ধতিগুলি ব্যাখ্যার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান।পাক ভূখণ্ডে আছড়ে পড়া ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটির ধরন এবং স্পেসিফিকেশন এবং একইসঙ্গে সেটির ফ্লাইট পাথ/ট্রাজেক্টরি সম্পর্কেও একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে ইসলামাবাদ। ‘মিসাইলটির কি নিজে থেকে ধ্বংসের শক্তি ছিল। কেন এই মিসাইলটির কার্যকারিতা ব্যর্থ হল? ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি কি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যেও উত্ক্ষেপণের জন্য তৈরি রাখা হয়? এমনই সব প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তান। এরই পাশাপাশি পাক ভূখণ্ডে ভারতীয় মিসাইল আছড়ে পড়ার বিষয়টি প্রথম ইসলামাবাদের তরফেই জানানো হয়। ভারতের এব্যাপারে আগেভাগে কিছু না জানানো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তান।উল্লেখ্য, পরীক্ষার সময় ভারতীয় মিসাইল পড়েছিল পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে ১২৪ কিলোমিটার ভিতরে। যা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতেই শোরগোল ফেলে দেয় ইসলামাবাদ। গত বুধবার ভারতের একটি সুপারসনিক মিসাইল পরীক্ষার সময় পাকিস্তানের দিকে চলে যায়। ইমরান খানের দেশ ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করার পর শুক্রবারই ভুল স্বীকার করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ভারত সরকার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে উচ্চপর্যায়ের তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে।