HomeStateপাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে ডাকা কনভেনশনে যোগ দেবেন ব্লে জানিয়েও...

পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে ডাকা কনভেনশনে যোগ দেবেন ব্লে জানিয়েও যোগ দিলেন না বিমল গুরুং

spot_img
- Advertisement -

দার্জিলিং ঃ পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে ডাকা কনভেনশনে যোগ দেবেন ব্লে জানিয়েও যোগ দিলেন না বিমল গুরুং।আসবার কথা থাকলেও আসেন নি বিজেপির পাহাড়ের একমাত্র সাংসদ রাজু বিস্তা।সে কারনে গতকালকে কালিম্পংয়ে আয়োজিত ওই কনভেনশন চূড়ান্ত ভাবে ফ্লপ হয়েছে।কিন্তু কি এমন হলো জিটি এ নির্বাচন নয় আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান আগে করার দাবি নিয়ে আলোচনা সভায় মুখ খুলব বলে জানালেও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রীমো বিমল গুরুং এলেন না।এমনকি আমরন অনশনে বসার পর্যন্ত হুমকিও দিয়েছিলেন গুরুং এজন্য। তবু কেন পাহাড়বাসির সামনে মুখ খুলতে এলেন না গুরুং ? সে নিয়ে পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলে দুরকম ভাস্য শোনা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার পাহাড়ে গিয়ে রাজ্যের মধ্যে থেকেও সর্বোচ্চ স্বশাসিত বোর্ড গড়ে সমস্যা সমাধানের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতেই আস্থা রাখছেন পাহাড়ের জনতা তথা অনান্য রাজনৈতিক দলগুলি।সে কথা বুঝে গিয়েই গুরুং আর সাহস করে এই নিয়ে ফের নতুন করে অশান্তি হোক এবং এর জন্য তাকেই দায়ি করা হলে ফের পাহাড় ছাড়ার আশংকা তাকে ভাবতে বাধ্য করেছে এই সম্মেলনে যোগ না দেবার ব্যাপারে। পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাকেও এই সম্মেলনে আমন্ত্রন জানানোর বিষয়টি আর তাতেই সামনে চলে আসে গুরুং-বিজেপি যোগ। শাসক দল যে পুরো বিষয়টির উপর কড়া নজর রেখেছে এবং তার ফল যে খুব ভাল হবে না তা জেনে বুঝেই সম্মেলনে গিয়ে মুখ খুলবেন বলেও জানালেও তা আর করে দেখালেন না। যদিও তার দাবি ছিল সম্মেলন তার দল ডাকে নি ডেকেছে স্থানিও একটি বেসরকারি সংস্থ্যা। যদিও সবাই জানে পেছনে মাথা ছিল গুরুংয়ের দলের। আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে স্বয়ং গুরুং এর। তিনি চেয়েছিলেন পাহাড়ে তৃনমুল সুপ্রীমো থাকতে তাকে চমকে দিয়ে বাধ্য করা তার দলের কথা মত পাহাড় চালাতে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অনিত থাপা বিনয় তামাং হরকা বাহাদুরদের মত একদা গুরুং ঘনিষ্টমদের আগেই নিজের কাছে টেনে নেওয়া ও পাহাড়ের নতুন দল হামারো পার্টির সাথে হাতে হাত মিলিয়ে পাহাড়ের পুরসভা চালানোর প্রস্তাব দিয়ে তাদেরও নিজের দিকে টেনে নেওয়ায় গুরুং নিজেকে পাহাড়ে নিস্বংগঃ ও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন তা জেনে বুঝেই আর শেষ মুহুর্তে সম্মেলনে থাকবেন বলে জানালেও গতকাল আর যাওয়ার সাহস দেখান বলে পাহাড়ের রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ধারনা।যদিও গুরুং জানিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন কিন্তু জিটিএ নির্বাচন হোক তিনি চাইছেন না। যদিও তৃণমূলের সঙ্গে থাকা পাহাড়ের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই চায় জিটিএ নির্বাচন হোক। একমাত্র গোঁ ধরেছিলেন গুরুং। তবে আজ তাঁর কনভেনশনে অনুপস্থিত থাকার ঘটনার প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে, ‘একগুঁয়েমি’ থেকে সরেছেন গুরুং। শুধু তাই নয়, বিজেপির সঙ্গেও রাখতে চাইছে দূরত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতায় ফিরে আসার একদিন পরেই এদিন ছিল কালিম্পংয়ের বুকে ওই কনভেনশন। আর সেখানেই অনুপস্থিত থাকলেন গুরুং। সুর বদলে তবে কি ‘দিল্লির লাড্ডু’ না খেয়ে পুরোপুরি মুখ্যমন্ত্রীর কথায় সায় দিয়ে দার্জিলিং এর লাড্ডু খেতে ভালবাসলেন গুরুং? এই প্রশ্নটাই এখন ঘুড়পাক পাহাড়ের বুকে

RELATED ARTICLES
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments