
নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশকুমার):রবিবার দিল্লি ঝড় উড়িয়ে নিয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (KKR)। পুরনো দলের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন কুলদীপ যাদব।কয়েক বছর আগেও কুলদীপকে ভারতবর্ষের সেরা স্পিন সম্ভাবনা ধরা হত। কুলদীপের বল পড়ে কোন দিকে ঘুরবে, বুঝতেই পারত না ব্যাটাররা! ভারতীয় টিমে তাঁর সঙ্গে যুজবেন্দ্র চাহালের জুটি নিয়ে চর্চাও চলত প্রচুর। কিন্তু সেই কুলদীপ ধীরে ধীরে ভারতীয় ক্রিকেটের সৌরজগৎ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যান। রবি শাস্ত্রী যাঁকে অতীব সম্ভাবনাময় ধরেছিলেন, সেই একই স্পিনার সব রকম ফরম্যাট থেকে বাদ পড়ে যান। টেস্ট। ওয়ান ডে। টি-টোয়েন্টি। আইপিএলেও (IPL 2022) তো। দিনের পর দিন কুলদীপকে ‘ব্রাত্য’ করে বসিয়ে রাখত কেকেআর। খেলাত না। ছেড়েও দিত না। অপরাধ? অপরাধ– মইন আলির কাছে একবার ইডেনে বেধড়ক মার খাওয়া। সেই কুলদীপ এদিন পুরনো দলের বিরুদ্ধে নিলেন চার-চারটি উইকেট।টসে হেরে যাওয়ার সময়ই ঋষভ পন্থ বলেছিলেন, প্রথমে ব্যাট করতে হলেও তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। বাস্তবে সেটাই দেখা গেল। কলকাতার বোলারদের দিশাহীন বোলিংয়ের সামনে তাণ্ডব চালালেন দিল্লির ব্যাটাররা। স্কোরবোর্ডে ২১৫ তুলে ফেলে দিল্লি। বিরাট রানের বোঝা নিয়ে নামা সহজ কথা নয়। কলকাতার শুরুটাও ধীরগতিতে হল। ফখগলে জিততে কোনও অসুবিধাই হল না দিল্লির।দিল্লির এই বিশাল রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় কেকেআর। বিপজ্জনক ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে (১৮) ডাগ আউটে ফেরান খলিল আহমেদ। অজিঙ্ক রাহানেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তিনি করেন মাত্র ৮ রান। ৩৮ রানে দ্রুত ২ উইকেট হারায় কেকেআর। এরপরে ইনিংস গোছানোর কাজ করেন শ্রেয়স আইয়ার ও নীতীশ রানা। দু’ জনে ৬৯ রান জোড়েন জুটিতে। নীতীশ রান ব্যক্তিগত ৩০ রানে আউট হন। কিছুক্ষণ বাদে ফেরেন শ্রেয়স আইয়ার (৫৪)।স্যাম বিলিংস (১৫) আউট হলে আরও খারাপ অবস্থা হয় কেকেআরের। স্কোর বোর্ড বলছে ৫ উইকেটে ১৩৩ রান নাইটদের। অতি বড় নাইট সমর্থকরা ভেবেছিলেন রাসেল ও কামিন্স বদলে দিতে পারবেন ছবিটা। কিন্তু ক্রিকেট ঈশ্বর অন্যরকম চিত্রনাট্য লিখে রেখেছিলেন। কুলদীপের ঘূর্ণিতে ঠকে যান প্যাট কামিন্স (৪)। নারিন (৪), উমেশ যাদব (০) ব্যর্থ। দেখা গেল না আন্দ্রে রাসেল (২৪) ম্যাজিকও। ক্যারিবিয়ান দৈত্য যখন ফেরেন, তখন ম্যাচ ঢুকে গিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে। পুরো ২০ ওভার খেলতে পারেননি নাইটরা। ১৯.৪ ওভারে ১৭১ রানে শেষ হয়ে যায় কেকেআর।