নিজস্ব প্রতিনিধি(দেবযানী): 20১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৮টি আসন জিতে সকলকে চমকে দিয়েছিল বিজেপি ৷ তার পর সময় যত এগিয়েছে, ততই বঙ্গে সংগঠনের ভিত মজবুত করেছে গেরুয়া শিবির ৷ যার নিরিখে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করেছিল তারা।সেই চ্যালেঞ্জে সফল হতে পারেনি বিজেপি ৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে গেরুয়া শিবির ৷ যদিও তার পর থেকে যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, সবক’টিতেই পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি ৷ শনিবারও সেই পরিস্থিতির ব্যতিক্রম তো হলই না, বরং আরও কাহিল অবস্থা হল পদ্মফুলের।আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও বিধাননগর – কোনও পৌরনিগমেই কোনও লড়াই-ই দিতে পারল না বিজেপি ৷ হুগলির চন্দননগর ও উত্তর 24 পরগনার বিধাননগর পৌরনিগমে খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি ৷ শিলিগুড়িতে পাঁচটি ও আসানসোলে সাতটি আসনে জিতেও নিজেদের কঙ্কালসার চেহারাটা ঢেকে রাখতে পারল না গেরুয়া শিবির ৷অথচ শিলিগুড়ি ও আসানসোলে গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছিল বিজেপি ৷ দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির ৷ দার্জিলিং জেলার সবক’টি বিধানসভা আসনও বিজেপির দখলে রয়েছে ৷ শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে মুখ করেই কার্যত ভোটের ময়দানে নেমেছিল গেরুয়া শিবির ৷ তার পরও সুকান্ত-শুভেন্দুরা ভোটের ময়দানে কোনও প্রভাব ফেলতেই পারল না ৷রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের মতে, এই হার বঙ্গ বিজেপিকে আরও সংকটে ফেলে দিল ৷ বিধানসভা ভোটের ফল আশানুরূপ না হওয়ায় গেরুয়া শিবিরের সংগঠনে ধস আগেই নামতে শুরু করে ৷ কিন্তু একের পর এক ভোটে বিজেপির হার প্রমাণ করছে, বিধানসভা ভোটে সাধারণ জনতার যে অংশ পদ্ম-প্রতীকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাও মুখ ফিরিয়েছেন বিজেপির থেকে ৷এর প্রভাব আগামী 27 ফেব্রুয়ারি 108টি পৌরসভার নির্বাচনে পড়বে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা ৷ যদিও বিজেপি এই যুক্তি মানতে নারাজ ৷ তাদের দাবি, মানুষের ভোটে তৃণমূল জয় পায়নি ৷ সন্ত্রাস করে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে তারা এই জয় পেয়েছে ৷