বাগডোগরা ঃ একদিকে যখন গনহত্যা বিধ্বস্ত বিরভূমের বগটুই গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্বজন হারাদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তির কথা ঘোষনা করছেন। ঠিক তখন শিলিগুড়িতে বিএস এফ এর একটি কর্মসুচীতে যোগ দিয়ে দিল্লি যাওয়ার বিমান ধরতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ফের এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের আইন শৃখ্যলা রক্ষায় ব্যার্থত্যা নিয়ে ফের সমালোচনায় মুখর হন।রাজ্যপাল ধনকড় রামপুরহাটের বগটুই গনহত্যা রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের “” চিত্ত যেথা ভয় শুন্য উচ্চ যেথা শীর “” কবিতার লাইনগুলি টেনে এনে বলেন আর সেদিনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, আর আমরা কি দেখলাম চিত্ত ভয়ে ভরা আর মাথা পদানত। এরপরেই রাজ্যপাল যোগ করেন, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হুওয়ার মত ঘটনা এই গনতন্ত্রে এরকম ঘটনা ভীষন পীড়া দায়ক।ভীষন লজ্জা দায়ক।পাশাপাশি তার আরো বক্তব্য, আমি বাংলার এই সরকারের কাছে আবেদন করব এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিরোধ করবার ব্যবস্থ্যা নিক। এর আগে আজ বিএসএফের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফের বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এরপর বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথ দিয়ে সোজা চলে যায় বৈকুন্ঠপুরের উদ্দেশ্যে।। তবে এই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।অপরদিকে রামপুরহাট কাণ্ডে রাজভবন নবান্ন সংঘাত অব্য়াহত। চলছে চিঠি, পাল্টা চিঠি। “এইরকম একটি ঘটনাকে রাজভবন তার মুখ বন্ধ করে রাখতে পারে না বলেও গতকাল রাজ্যপাল দার্জিলিং থেকে কলকাতায় ফিরে মন্তব্য করেন।তার আরো বক্তব্য, আপনি বলছেন রাজ্য শান্তিপূর্ণ রয়েছে। নির্বাচন-পরবর্তী হিংসায় কী হয়েছে তা দেখা গিয়েছে। সিটের বিশ্বাসযোগ্যতা কি রয়েছে? আপনি সবসময় সংবিধানকে এড়িয়ে গিয়েছেন।” এসব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এক রাত কলকাতায় কাটিয়ে ফের শিলিগুড়িতে ফিরে সেই সমালোচনা যেন অব্যাহত রাখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।উল্লেখ্য, রামপুরহাটের গণহত্যার পরিস্থিতিতে গতকাল দার্জিলিং থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। গতকাল দুপুর ১টা নাগাদ দার্জিলিং থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌছান তিনি। এরপর বিমানে করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গত ১৬ মার্চ উত্তরবঙ্গ সফর এসেছিলেন তিনি।এদিকে আজ বি এস এফ এর কর্মসুচীতে যোগ দিতে এসে রাজ্যপাল ধনকড় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেও সাংবাদিকদের অন্য কোন প্রশ্নের উত্তর এখানে দিতে তিনি রাজি হন নি। পরে সাংবাদিকরা জোরাজুরি করলে তিনি জানান তাহলে তার দিল্লি যাওয়ার সময় বাগডোগরা বমানবন্দরে যা বলার বলবেন। এরপরেই দুপুর পনে দুটা নাগাদ রাজ্যপাল বিমানবন্দরে আসেন দিল্লির বিমান ধরতে। তার আগে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় যেমন সরব হন। তেমনি সংবাদ মধ্যমের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন। রাজ্যপাল ক্ষোভের সাথে বলেন কেন আপনারা মিথ্যে অভিযোগ নিয়ে এই রাজ্য সরকারকে কোন প্রশ্ন করার সাহস পান না। এর পরেই ক্ষুদ্ধ রাজ্যপাল বলেন, ” গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ এখানে শুধু নড়ছে না তাকে উপরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে “। আর তারপরেই কাউকে কিছু বলার বা প্রশ্ন করার সুযগ না দিয়ে তিনি সোজা বিমানবন্দরের ভেতর ঢুকে যান।