নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুরভোটের আগে দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়ে অশান্তি, হিংসা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু হুঁশিয়ারিই সার, কলকাতায় জায়গায় জায়গায় অশান্তি আরও একবার নির্বাচনী সন্ত্রাসের নগ্নচিত্র সবার সামনে তুলে ধরেছে। টাকি স্কুলের সামনে হওয়া বোমাবাজিতে এক ভোটারের পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। তিনি সিগারেট কেনার উদ্দেশ্যে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন, আর বেরিয়েই বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস সব দলই নির্বাচনে সন্ত্রাসের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছে। অন্যদিকে, তৃণমূল তাঁদের দিকে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। আরেকদিকে, নির্বাচনী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এক বিরল দৃশ্য দেখল কলকাতা। সাপে-নেউলে বলে পরিচিত সিপিএম ও বিজেপিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে বড়তলা থানার সামনে প্রতিবাদী ধরনায় বসতে দেখা গেল।
এছাড়াও কংগ্রেসও সেই প্রতিবাদে অংশ নিয়ে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। তিনটি দলকেই একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও দেখা গেল বড়তলা থানার সামনে।