আমাদের মধ্যে হয়ত অনেকেই জানি না ২৫শে ডিসেম্বর আসলে দিনটি কি ! ২৫শে ডিসেম্বরের খ্রীস্টমাসের আরম্বরে সবাই “স্বামীজীকে” ভুলেই গেছি !১৮৯২ সালের ২৫শে ডিসেম্বর থেকে ২৭শে ডিসেম্বর পর্যন্ত “স্বামী বিবেকানন্দ” কন্যাকুমারী তে সমুদ্র-স্থিত শিলার ওপর বসে ধ্যানস্থ অবস্থায় ভারতবর্ষের মানুষের দুঃখ নিবারণ, নারী শক্তির উন্মেষ এবং ভারতের জন-সাধারণের কল্যাণ ও উৎকর্ষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ তাই ২৫ ডিসেম্বর “সংকল্প দিবস” হিসাবে পালন করা হয় ৷ এই সময় সমর্থ ভারত পর্ব পালন করা হয়। দেশের জন্য যন্ত্রণা, দেশের জন্য ভালবাসা যেন শরীরধারণ করে স্বামীজীর মধ্যে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। স্বামীজীর সংস্পর্শে যিনি আসতেন, ভারতপ্রেম তাঁর মধ্যেও অনিবার্যভাবে সংক্রামিত হত। ভগিনী ক্রিস্টিন লিখেছেন : ‘আমাদের ভারতপ্রেমের জন্ম হয়েছিল মনে হয় ঠিক সেই মুহূর্তটিতেই – যখন আমরা প্রথম তাঁর সেই অদ্ভুত কন্ঠস্বরে *’ইন্ডিয়া’* শব্দটি উচ্চারিত হতে শুনলাম। পাঁচ অক্ষরের এই ছোট্ট শব্দটিতে যে এত কিছু ভরিয়ে দেওয়া যেতে পারে, তা প্রায় অবিশ্বাস্য মনে হবে। তাতে ছিল ভালবাসা, গভীর আবেগ, গর্ব, ঘরে ফেরার ব্যাকুলতা, পূজা, বিচ্ছেদবেদনা ও শৌর্য…। হাজার পৃষ্ঠা লিখলেও কেউ অন্যের মধ্যে এরকম ভাব জাগাতে পারে না। তাঁর মুখে উচ্চারিত সেই শব্দটির মধ্যে এমন একটা যাদুশক্তি ছিল যা শ্রোতাদের অন্তরে ভারতপ্রেম জাগিয়ে তুলত। তারপর থেকেই চিরদিনের জন্য ভারতবর্ষ হয়ে উঠত তাঁদের অন্তরের আকাঙ্ক্ষিত ভূমি। ভারতবর্ষ সম্পর্কীয় সবকিছুই – ভারতবর্ষের মানুষ, ভারতবাসীর আচার-ব্যবহার ও রীতি-নীতি, ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি আধ্যাত্মিক ধ্যান-ধারণা ও শাস্ত্র, ভারতবর্ষের নদনদী পাহাড়পর্বত ও স্থলভূমি – সবকিছুই তাঁদের কাছে হয়ে উঠত আকর্ষণীয় এবং জীবন্ত।’ *”ওঁ পরতত্ত্বে সদালীনো রামকৃষ্ণ সমাজ্ঞয়া।**যো ধর্মস্থাপনরতো বীরেশং তং নমাম্যহম্।।”