নিজস্বপ্রতিনিধি:বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ – এই নির্বাচনী স্লোগান তুলেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাজিমাত করেছে তৃণমূল। এখানে বাংলার ‘নিজের মেয়ে’ বলতে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘নিজের মেয়ে’কেই ফের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়েছেন রাজ্যবাসী। মুখ্যমন্ত্রী হলেও মমতা যেহেতু নির্বাচনী লড়াইয়ে পরাজিত, তাই তাঁকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। এবার তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মমতার নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরে ইতিমধ্যেই নয়া স্লোগান বেঁধে ফেলেছে তৃণমূল। এবারে তৃণমূল নেত্রীর প্রচারের মন্ত্র – ‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে।’
গত ১০ বছর ধরে নিজের বাড়ির পাশে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়াই করেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ২০২১ এ ঘটেছে ব্যতিক্রমী ঘটনা। স্বেচ্ছায় ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী লড়েছেন অন্যতম স্পর্শকাতর কেন্দ্র – নন্দীগ্রাম থেকে। রাজ্যে নির্বাচনের ঘণ্টা বাজার বহু আগেই তিনি নিজেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ হিসেবে গেরুয়া শিবির লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়েছিল সদ্য দলবদল করা শুভেন্দু অধিকারীকে। মমতাকে কয়েকশো ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন বর্তমানের বিরোধী দলনেতা। ফলে উপনির্বাচনে নিজের জয় নিশ্চিত করতেই হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপনির্বাচনের কথা উঠতেই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ২৮ হাজার ভোটে জিতে যাওয়া রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে এই কেন্দ্রটি ছেড়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। দলের সকলেই চান, চেনা ভবানীপুর থেকেই উপনির্বাচনে লড়াই করুন মমতা। তাই তাঁর জন্য তৈরি হয়েছে নতুন স্লোগান। তৃণমূলের শাখা সংগঠন ‘জয়হিন্দ বাহিনী’র লড়াইয়ের মন্ত্র -‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে।’ এ যেন ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ স্লোগানেরই আরেক প্রতিধ্বনি। যদিও রাজ্যে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। দ্রুত তা ঘোষণার দাবিতে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে হয়ত হতে পারে উপনির্বাচন। তবে তা যখনই হোক, প্রস্তুতি ভালভাবেই সেরে নিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বিশেষত যে কেন্দ্রের প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে তো বাড়তি নজর থাকবেই। নতুন স্লোগানটিই তার প্রমাণ।