নিজস্ব প্রতিনিধি (সতীশ কুমার): লাদাখের আকাশে আবারও রহস্যজনক রক্তিম আলোর খেলা। রাতের আকাশে এই মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী রইলেন ভারতীয় গবেষকরা। ওই বিশেষ মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দিও করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। তাতে মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা বলেই মনে হয়েছে ওই রক্তিমবর্ণ আভাকে।
লাদাখের হানলেতে রয়েছে ইন্ডিয়ান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজার্ভেটরি। তাদের ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরায় ধরা পড়ে ২২ ও ২৩ এপ্রিলে লাদাখের আকাশে আলোর খেলা। ৫ নভেম্বর রাতে ওই বিরল মহাজাগতিক কর্মকাণ্ড চোখে পড়ে লাদাখে, যাতে স্টেবল অরোরাল রেড (SAR) বলে অভিহিত করছেন গবেষকরা। নরওয়ের মতো দেশে যে সবুজ এবং নীল মেরুজ্যোতি চোখে পড়ে, লাদাখে দেখতে পাওয়া আলোর ছটার রং লাল হওয়াতেই তাকে SAR বলা হচ্ছে। আইএও কর্তৃপক্ষর মতে ভারতের আকাশে অরোরা বোরিয়ালিস যাঁরা উপভোগ করেছেন তাঁদের কাছে এই অভিজ্ঞতা সারাজীবনের জন্য অত্যন্ত দুর্লভ সঞ্চয় হয়ে রইল। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম এমন দৃশ্য দেখা গেল, জানিয়েছেন মহাকাশবিদরা।
তুলনামূলক ভাবে উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থিত পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গায় এই মেরুজ্যোতির খেলা চোখে পড়ে। সাধারণত সৌরঝড় থেকে নির্গত ইলেকট্রন এবং প্রোটন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এলে, বায়ুমণ্ডলের উপরিস্তরের গ্যাসের সঙ্গে তাদের ঘষা লাগে। তা থেকেই আগুনের ফুলকির মতো আলোর ছটা তৈরি হয়। একই সময়ে এমন লক্ষ লক্ষ ফুলকি তৈরি হলে, তা মেরুজ্যোতির আকার ধারণ করে।
লাদাখে ৫ নভেম্বর রাত ১০টা নাগাদ ওই রক্তিমবর্ণ আলোর ছটা চোখে পড়ে। ১০টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ তার ঔজ্জ্বল্য বেড়ে যায় অনেক গুণ। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, বেঙ্গালুরুর তরফে অল স্কাই ক্যামেরার মাধ্যমে ওই বিশেষ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয়। ক্রমে হানলে হয়ে মেরাকেও ওই মেরুজ্যোতি চোখে পড়ে। প্যাংগং হ্রদের তীরে অবস্থিত মেরাক। ওই এলাকাকে ন্যাশনাস লার্জ সোলার টেলিস্কোপ বসানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।