
ঃ কি রে! পাঁচ পাঁচবার ” সরি”!ঃ ওহ হো হো! SORRY! ঃ তোকে বলেছি না– বন্ধুত্বে “No Sorry, No Thanks”! . ঃ ওহো, তা-ই তো, তাই তো, SORRY.. ঃ আবার! ঃ আচ্ছা,আচ্ছা আর বলব না, Sorry…. ঃ মেঘনা ! তোর এই Sorry বলাটা একটা মুদ্রাদোষ! আজ কত তারিখ মনে আছে? ঃ কপোতাক্ষ! এত বেহুঁশ ভাবিস না আমায়। (গর্বের সাথে) আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। কপোতাক্ষ বলে, “বেশ। মনে আছে তাহলে! আর কি কথা হয়েছিলো আমাদের? আজ বাংলায় কথা হবে। কোনও ইংরেজি নয় আজ। মনে আছে?”মেঘনা জিভ কেটে বলে,” Sorry , ভুলে গিয়েছিলাম। মনে পড়েছে”। ঃ হুঃ, মনে পড়েছে! তাই আবার Sorry !মেঘনা লজ্জায় নিজের কান মুলে বলে–” Sorry”!কপোতাক্ষ হতাশ! কি যে করে! মেঘনা আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বলে, “”জানিস, সেদিন একজনকে বেফাঁস কথা বলে ফেলেছিলাম, সে রেগে তেড়ে আসার মুহূর্তে বলে দিলাম,’ Sorry ‘; ব্যাস, “গলে জল”!আর একদিন, বস আমায় বলছেন, ” আপনাদের এত বাজে কথা বললাম, অথচ এখন দেখছি– আপনারাই সঠিক। ” একগাল হেসে বসকে বুদ্ধি বাতলে দিলাম– ” স্যার সাতখুন মাপ হয় কিসে আপনি তো জানেন। সবাইকে ‘Sorry’. বলে দিন “।বস শুনলেন, মানলেন, বললেন — সবাই মনে মনে ভীষণ খুশী, মুখে অবশ্য বলল, “Sorry sir, এভাবে বলবেন না”! ব্যস !সব ঠান্ডা হয়ে গেল! আর আমার জন্য ?!!–একটা ” ট্রিট”! তবেই বোঝ! কি শক্তিশালী এই “SORRY”! “”কপোতাক্ষ রেগে গিয়ে বলে, ” থাক তুই তোর Sorry নিয়ে। আমি চললাম” — বলেই হনহনিয়ে হাঁটতে থাকে । কপোতাক্ষকে ধরার জন্য মেঘনা পেছন পেছন ছুটতে থাকে, আর বলতে থাকে– ” Sorry sorry sorry sorry sorry sorry …….!!!!! ✍? @ সোনালী মজুমদার।