নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁর বাবা সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ‘নিজেদের বাড়ি’ তৈরির চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু প্রমোটারদের গড়িমসিতে তাঁদের সেই স্বপ্নভঙ্গ হতে বসেছিল। ফলে নিরাশায় ডুবে গিয়েছিলেন পূর্ব-মধ্য কলকাতার এন্টালির বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম। ঠিক সেসময়ই তাঁর মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বুদ্ধিতে সব কিছুই এক লহমায় ঠিক হয়ে গেল। রফিকুল ইসলামের ছোট মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জাহিন বিলকিস গত সেপ্টেম্বরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের গ্রিভান্স সেলে পুরো ঘটনা জানিয়ে চিঠি লেখে। এর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এন্টালি থানা থেকে ওই পরিবারকে প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস জানিয়ে ফোন করা হয়। এবং কয়েকদিনের মধ্যে তাঁদের সমস্যা সমাধান করা হয়।
মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম কর্মসূত্রে কলকাতার বাসিন্দা হয়েছেন। কিন্তু তাঁর নিজের কোনও ফ্ল্যাট বা বাড়ি ছিল না। নিজের সমস্ত সঞ্চয় একত্র করে তিনি ২০২০ সালে ইসলাম ৬৫০ বর্গফুটের দু-কামরার ফ্ল্যাটের জন্য এক রিয়েল-এস্টেট ডেভেলপার সংস্থাকে ১৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন।
তিনি টাকা ফেরত অথবা ফ্ল্যাটের পজেশন পেতে নানা জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু গত আগস্টে ইসলাম এই মানসিক চাপ নিতে না পেরে ভেঙে পড়েন এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী দফতরের গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ জানায় ছোট্ট মেয়েটি। এরপর মুহূর্তেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। রাজ্য সচিবালয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই গ্রিভান্স সেল রেকর্ড সময়ে সারা রাজ্যে ১১ লক্ষের বেশি অভিযোগের ৯৭ শতাংশ নিষ্পত্তি করেছে।