
নিজস্ব প্রতিনিধি(দেবযানী):-বুধবার সকালেও আবারও এক মৃত্যুর খবর, কাঁদিয়ে দিয়ে গেল গোটা দেশকে, চিরনিদ্রায় বাপ্পি লাহিড়ি , খবর সামনে আসতেই ভেঙে পড়ল শিল্পী মহল থেকে সাধারণ মানুষ। তাঁর কন্ঠস্বর যেন ম্যাজিকের মতো, মুহূর্তে মানুষের মন ভালো করে দিলে, মিউজিক সফরে জোয়ার আনতে ছিল সিদ্ধহস্ত।তবে সুরের সঙ্গে সংযোগে ইতি টানার প্রসঙ্গ সামনে এসেছিল ছয় মাস আগেই। বলিউডের সেই বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ি নাকি গলার স্বর হারিয়েছেন। এমনকী কথাও বলতে পারছে না। সেপ্টেম্বর মাসেই একথা প্রকাশ্যে এসেছিল, তাতেই জোর জল্পনা বেড়েছিল শিল্পমহলে। বিশেষ করে সুরকার পুত্র বাপ্পা লাহিড়ির কথাতেই যেন উদ্বেগ বাড়ছে ভক্তদের মধ্যে।আশির দশকে সকলকে তাক লাগিয়ে বলিউডে তাঁর দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। একের পর এক হিন্দি ছবিতে কম্পোজ করা থেকে সুর তাঁর গানের নেশায় বুঁদ হয়েছিল আট থেকে অষ্টাদশী। তাঁর সেই গানের সুর এবং গান আজও দর্শকদের মণিকোঠায় উজ্জ্বল। সকলের প্রিয় বাপ্পি দা নাকি আর গান গাইতে পারবেন না। কী এমন ঘটল তাঁর সঙ্গে, সামনে এসেছিল ভয়ানক খবর, মাস কয়েক আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে কোভিডকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু শরীরিক বেশ কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছিল।লেজেন্ডের পুত্র বাপ্পা লাহিড়ি এই খবর সকলকে জানিয়েছিলেন, তাঁর কথায়, কোভিডের পরই নাকি গলার স্বর হারিয়ে ফেলেছেন বাপ্পি লাহিড়ি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর সকলেই কুশল সংবাদ নিতে তাঁর বাড়ি উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু কারোর সঙ্গেই কথা বলতে পারেনি সঙ্গীত শিল্পী। ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, শরীরও পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে বলিউডের বর্ষীয়ান সুরকারের । বাবার শরীর খারাপের খবর পেয়েই মাস কয়েক আগে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে দেশে ফিরেছেন বাপ্পা লাহিড়ি। তারপর আর ফেরা হয়নি মার্কিন মুলুকে। তখন থেকেই ছিলেন বাবার পাশে। অবশেষে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চির নিদ্রায় সুরকার।সেই সময় পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছিল, ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ রয়েছে বাপ্পি লাহিড়ির। এবং সেই কারণেই ডাক্তারদের নির্দেশেই তার কথা বলা বন্ধু। তবে করোনা যে ভালমতোই শরীরে প্রভাব করেছিল তা জানিয়ে ছিলেন ছেলে বাপ্পা। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল হাঁটুর সমস্যা। এবং এতটাই বেড়েছে যে তার হাঁটুও প্রতিস্থাপন করার কথাও সামনে এসেছিল। তখন থেকেই শুরু হয় শরীরের অবক্ষয়, অবশেষে ১৬ ফেব্রুয়ারি সকলকে কাঁদিয়ে ঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন সকলের প্রিয় বাপ্পি লাহিড়ি।