নিজস্ব প্রতিনিধি(দেবযানী): চিরদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল কোকিল কন্ঠ। ২৭ দিনের লড়াই শেষ হল আজ সকালেই। ৯২ বছরেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর । সুর-সাম্রাজ্ঞী মৃত্যুর খবরে গোটা দেশ জুড়ে শোকের ছায়া।কোটি কোটি অনুরাগীর প্রার্থনায় আর সারা দিলেন না বর্ষীয়াণ গায়িকা। সরস্বতী পুজোর রেশের মধ্যেই চলে গেলেন সুরের সরস্বতী। সকাল ৮.১২ মিনিটে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। কোভিড পরবর্তী জটিলতা, মাল্টি অর্গান ফেলিওরেই মৃত্যু হয়েছে লতা মঙ্গেশকরের । তবে এর মধ্যেই বেশ কিছু তথ্য সামনে আসছে।বছর। তিনি যখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। হঠাৎই এক ভোরে তাঁর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা। এর পরেই সবুজ বমি করতে থাকেন তিনি। আস্তে আস্তে সারা শরীর অসাড়। হাত–পা নাড়ানোর ক্ষমতাটুকুও নেই। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন গায়িকা। চিকিৎসককে খবর দিতেই তিনি বাড়িতে এক্স রে–র ব্যবস্থা করেন। ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন তাঁকে। তাঁর করা এক্স রে থেকে জানা যায়, পাকস্থলীতে বিষ রয়েছে।সে বার টানা তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছিলেন লতা। তবে অবিশ্বাস্যভাবে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু তখন ভীষণ দুর্বল। তখনই চিকিৎসক জানান তাঁকে কেউ বিষপ্রয়োগ করে খুন করতে চেয়েছিল। বিষক্রিয়ার প্রভাবে অনেক দিন পর্যন্ত লতা গরম খাবার খেতে পারতেন না। বরফের টুকরো মেশানো তরল খাবার খেতেন তিনি।কে তাঁকে এভাবে মারার চেষ্টা করেছিলেন তা জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছিল যে এই ঘটনার পরই লতার বাড়ির এক রাঁধুনি পারিশ্রমিক না নিয়ে কাজ ছেড়ে দেন। এরপর লতা মঙ্গেশকরকে কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হত।তবে লতা জিকে কে আর কেন খুন করতে চেয়েছিল তা আজও রহস্য হয়ে আছে। হয়ত অল্প বয়সে তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক শিল্পীর ইর্ষার কারণ হয়ে উঠেছিল। আর তাই তাঁকে হয়ত সরিয়ে দিতে চেয়েছিল কেউ।