নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): টানা ৬ দিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে পাহাড়ে রওনা দিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। যাবার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপিকে। চোর স্লোগান ইস্যুতে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে “পকেটমার” বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের বকেয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্র। প্রাপ্যের দাবিতে সংসদ সরব রাজ্য়ের শাসকদলের সাংসদরা। তবু হেলদোল নেই কেন্দ্রের। এর মধ্যেই ফের একবার ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার ‘গরমিল’ খুঁজতে বাংলায় আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রের তরফে পঞ্চায়েতদপ্তরকে লেখা চিঠিতে জানানো হয়েছে, তৃণমূল সরকারের আমলে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বিস্তর গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। তা খুঁজতে ফের বাংলায় আসছে প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় দল। গতকালেই বিধানসভায় চোর চোর স্লোগান তুলেছে বিজেপি। এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিরক্ত মমতা বলেন, “ওঁরা পকেটমার। মানুষের পকেট কাটে। এর আগে ১০৭টি দল এসেছে। আরও দল আসুক। এরা বিজেপিকে রাজনৈতিক অক্সিজেন জোগাতে আসে। ও করেগা, হাম লড়েগা।”
তিনি আরও বলেন, ‘এসব শুনতেও খারাপ লাগে। যারা পকেটমার তারা পকেটমার পকেটমার বলে চিত্কার করে। ওরা সবচেয়ে বড় পকেটমার। দেশের মানুষের পকেট সবচেয়ে বেশি কেটেছে ওরাই। বলুন না, নোটবন্দি থেকে শুরু করে অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেব বলা থেকে শুরু করে কোভিডের সময়ে ফ্রি রেশন দেওয়া, অনেক কিছুই করেছে ওরা। সেই ফ্রি রেশন বন্ধ কেন করে দিয়েছে ওরা? আমাদের এখানে আমরা মিথ্যে কথা বলি না। ভোটে এলেই কিছু কথা ওরা বলে। তারপর ভাঁওতা দেয়। ভোটের সময় কিছু বলে, ভোট ফুরোলে অন্য কথা বলে। ওদের মতো আমরা পারি না। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন তদন্তের জন্য ওরা বহু টিম পাঠিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের উত্সাহ দেওয়ার জন্য ওরা আসছে।’
গত সোমবার একই ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক। ঘটনাচক্রে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। অভিষেক বলেছিলেন, ‘ছোট বেলা থেকে মা-বাবা বলতেন পকেটমার হইতে সাবধান। রাস্তায় ভিড়ে বা বাসে দেখবেন যে চুরি করে সে কিছুটা দূরে পালিয়ে গিয়ে চোর চোর বলে চিল্লায়। এগুলো হচ্ছে সেই পকেটমার। আমরা ছোট বেলায় এই গল্পগুলো শুনতাম, নিজেরাই পকেট কেটে কিছুদূর দৌড়ে গিয়ে চোর চোর বলে চ্যাঁচাত। বিজেপির নেতাগুলো হচ্ছে সেই পকেটমার।’