বালুরঘাট ঃ ” রঘুনাথপুর ” ছয় অক্ষরের এই নাম মাহাত্মেই এক ডাকেই উত্তরবংগের মানুষ চেনে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের এই রঘুনাথপুর জায়গাটিকে।এখানেই আত্রেয়ী নদীর গা ঘেষে অবস্থিত রঘুনাথের মন্দির। রাম সীতা লক্ষন আর পবন পুত্রের মুর্তির মন্দির। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরে নিত্য দিনের পুজোর পাশাপাশি এই রামনবমীর দিন হয় বাসৎরিক পুজো। লোকমতে এই দিনে জাগ্রত এই রঘুনাথ মন্দিরে ভক্তরা তাদের মনের কামনা বাবা রঘুনাথের নিকট প্রার্থনা জানিয়ে পুজো দিলে ভক্তদের মনের কামনা পুরন হয়ে থাকে। এদিন তাই মন্দির প্রাংগন চত্বর ঘিরে বসে মেলা।ভক্তদের সমাগমে উপচে পরে মেলা ও মন্দির প্রাংগন।বালুরঘাট শহরের প্রবেশ করার মুখেই ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই অবস্থিত এই রঘুনাথপুর এলাকা। আগে রাস্তা থেকেই দেখা যেত প্রাচিন সেই মন্দিরের কুটির। কিন্তু কালের নিয়মে মন্দির প্রাংগননের জায়গা ছেড়ে তার আশ পাশ দিয়ে জনবসতি গজিয়ে ওঠায়। আজকাল তাই রাস্তা থেকে আর মন্দির দর্শন করা সম্ভবপর হয় না।রামনবমীর দিন ভোর হতে না হতেই দুরদুরান্ত থেকে ভক্তজনরা রঘুনাথ শীউজির পুজো দিতে রঘুনাথ মন্দিরে ভীড় জমান। বিগত দুই বছর কোভীড বিধি বজায় থাকায় পুজো কমিটির পক্ষ থেকে আগাম ভক্তজনদের তা জানান দিলেও ভক্তজন বছরে এই দিনটি তে রঘুনাথের দর্শন ছাড়তে চায় নি। তবে উপস্থিতি অনান্যবার যা হয়ে তা অবশ্য হয়নি। তবুও সমাগম কম ছিল না। তবেও করোনা অতিমারির কারনে প্রথম দফায় মেলা না বসলেও দ্বীতিয় দফায় গতবছর ছোটখাট মেলা বসে ছিল।আর এবার তো কোভীড বিধি উঠে যাওয়ায় ভোর থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে মন্দির ও তাকে কেন্দ্র করে মেলাতে।ভোর হতেই আত্রেয়ী নদীতে স্নান সেরে ভক্তজনদের পুজো দেবার জন্য লাইন পড়ে গেছে মন্দির প্রাংগনে।এই পুজোয় খাজা বাতাসা বা সন্দেশ ভোগ ছাড়াও ডাব দিয়ে পুজো দেওয়ার একটা চল রয়েছে। কথিত আছে বাবা রঘুনাথের কাছে এক অন্ধ ব্যাক্তি হত্যে দিয়ে পড়ে থেকে বাবা রঘুনাথের কৃপায় নিজের চোখের জ্যোতি ফিরে পেয়েছিলেন। এছাড়াও নানা ব্যাধির থেকেও আরোগ্য লাভ করেছেন অনেক ভক্তজন ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে। তার পাশাপাশি কারো বাড়ির গাছে ফলন না হলে বা গরুর দুধ বা বাচ্চা না হলেও বাবার কাছে প্রার্থনা জানিয়ে সেই সব জিনিষ দিয়ে পুজো দেবার মানত করেও অনেকের মনোবাঞ্চা পুরন হয়ে থাকে বলে কথিত আছে। অবশ্য কথিত শুধু আছে বললেই হয় না তা বাস্তবেও ঘটে থাকে বলে এই রামনবমীর দিন রঘুনাথ বাবার মন্দিরে পুজো দিতে আজও সমান তালে জেলা তো বটেই উত্তরবংগের বিভিন্ন জায়গার থেকে ভক্তজনরা পুজো দিতে ভীড় জমান।তবে এই মেলার জন্য পুলিশ প্রশাসন সদা নজরদারি যেমন চালায়। তেমনি বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্থ্যার পক্ষ থেকে ভক্তজনদের জন্য নানা শিবিরের ব্যবস্থ্যা করা হয়। থাকে স্বাস্থ্য শিবিরও