HomeCountryরাজ্যপালেরা জনপ্রতিনিধি নন, বিধানসভার উপর খবরদারি শোভা পায় না: সুপ্রিম কোর্ট

রাজ্যপালেরা জনপ্রতিনিধি নন, বিধানসভার উপর খবরদারি শোভা পায় না: সুপ্রিম কোর্ট

- Advertisement -

নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): তাঁরা যে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নন, বিধানসভায় পাশ হওয়া সিদ্ধান্তের উপরে খবরদারি করা যে তাঁদের শোভা পায় না, রাজ্যপালদের সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতিনিধি রাজ্যপালদের সঙ্গে প্রায় প্রতিটি অবিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকারের দ্বন্দ্ব যখন মাত্রাছাড়া, তখন সর্বোচ্চ আদালতে খোদ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্য সররকারের সঙ্গে সংঘাতের আবহ সৃষ্টি করে বিধানসভায় পাশ হওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্তে অনুমোদন না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন রাজ্যপাল। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সোমবার মন্তব্য করেছে, বিষয়টি আদালতে পৌঁছনোর আগেই রাজ্যপালের উচিত রাজ্যের আইনসভায় অনুমোদন হয়ে আসা সিদ্ধান্তগুলি চূড়ান্ত করা।
উল্লেখ্য, পঞ্জাবের রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাম্প্রতিককালে পঞ্জাব বিধানসভায় পাশ হওয়া চারটি বিলে তিনি সই করছেন না। তিনি বিলগুলিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অস্পষ্ট কারণে আটকে রেখেছেন। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। আর তার প্রেক্ষিতেই সার্বিক ভাবে এই বার্তা দিল শীর্ষ আদালত।
বিল সই না করার ট্রেন্ড নিয়ে গতকাল উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পর্যবেক্ষণ করেন, প্রত্যেকটা বিলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে আদালতে যেতে যাতে বাধ্য না করেন রাজ্যপালরা। বিল সই না করার ট্রেন্ড প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত বলে, ‘তেলাঙ্গানাতেও এটা হয়েছে। অন্যান্য আরও রাজ্য আছে যারা পড়ে থাকা বিলে রাজ্যপালের সইয়ের জন্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। কেন রাজ্য সরকারকে এই কারণে বারবার আদালতে আসতে হবে? সরকার আদালতে যাওয়ার আগেই পদক্ষেপ করা উচিত রাজ্যপালদের। দেখা যাচ্ছে, সরকার যখন সুপ্রিম কোর্টে আসছে, তখন গিয়ে রাজ্যপাল নিজের কাজ করছেন। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।’রাজ্যপালদের উদ্দেশে শীর্ষ আদালের বার্তা, ‘নিজেদের আত্মাকে খুঁজে বের করুন’। সোমবার এক মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালদের অবশ্যই এটা মনে রাখতে হবে যে তাঁরা রাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধি নন এবং নির্বাচিত সরকারের আইন প্রণয়নের উপর তাদের ক্ষমতা খুবই সীমিত।
পঞ্জাবের রাজ্যপালের হয়ে এই মামলায় সওয়াল জবাব করছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সুপ্রিম কোর্টকে তুষার মেহতা জানান, বিল নিয়ে রাজ্যপাল পদক্ষেপ করেছেন। প্রয়োজনে এর স্টেটাস আপডেট তিনি শীর্ষ আদালতে জমা দিতে পারেন। এই আবহে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১০ নভেম্বরে ধার্য করে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে তেলাঙ্গানাতে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেখানকার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরাজন বেশ কয়েকটি বিলে সই করেননি। এর জেরে সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। সেই রাজ্যের সরকার তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি হওয়ার কিছু সময় আগে রাজ্যপাল তিনটি বিলে সই করে দেন। গত এক সপ্তাহে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিল সই না করার অভিযোগ জানিয়ে তামিলনাড়ু এবং কেরলও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই সব মামলার শুনানি এখনও হয়নি। তার আগেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে সব রাজ্যপালদেরই বার্তা দেওয়া হল।

writer

writer

RELATED ARTICLES
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments

AI Calculator

Calculate Facebook Earning and calculate EMI for loans, or compute GST.


This will close in 20 seconds