নিজস্ব প্রতিনিধিঅর্পিতা)ফের আবাস যোজনার কাজ পরিদর্শনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। হুগলি জেলায় বুধবার ৭ সদস্যের একটি কেন্দ্রীয় দল আসে। আবাস যোজনায় কারা বাড়ি পেয়েছেন, কাজ কেমন হয়েছে এরকম একাধিক বিষয়ে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। স্থানীয় জেলা প্রশাসনিক ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। আগামী ১৫ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে মন্ত্রককে জমা দেওয়া হবে আবাস নিয়ে রিপোর্ট।
কেন্দ্রের কাছে বাংলার বকেয়া নিয়ে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিচ্ছেন। এমন আবহে আজ হুগলিতে এল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। হুগলির বলাগড় ব্লকের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে দুপুর দেড়টা নাগাদ গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মনিটারিং টিমের সাতজন তিনটি গাড়িতে করে আসেন।
পঞ্চায়েতের দ্বিতলে সভা কক্ষে অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ), বলাগড় বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস, প্রধান ছবি রাউত উপ প্রধান শ্যামা প্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায় সহ পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠক শুরু হয়।পরে সেখান থেকে তারা বেরিয়ে ডুমুরদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের দাদপুর গ্রামে যান। সেখানে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে যান তাঁরা।
2017-18 সালের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যে সমস্ত গৃহহীন মানুষেরা ঘর পেয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে যান। তাঁরা কত টাকা পেয়েছেন? তাঁর পরিমাণ কত? রান্নাঘর, শৌচালয় আছে কিনা জানতে চান তারা । পরবর্তীকালে টাকা পেলে আর কোথায় ঘর করবেন তাও গ্রামের মানুষের কাছে জানতে চান কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা । জেলার আরও কয়েকটি ব্লক ও পঞ্চায়েতে আবাস যোজনা, একশ দিনের কাজ কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল।
এ প্রসঙ্গে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, টিএমসি প্রচার করে কেন্দ্র পয়সা দিচ্ছে না, কিন্তু কেন্দ্র যে হিসাব চাইছে সেই হিসাব দিচ্ছে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি হিসেব পেশ করছেন না। কেন্দ্র যে প্রচুর পরিমাণে টাকা দিয়েছে সেই ১০০ দিনের টাকা কোথায় গেল? রাজ্য সরকার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। তার জন্য একটা তদন্ত হওয়ার দরকার রয়েছে। পঞ্চায়েত গুলোতে ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্র যা করছে তা সাধারণ মানুষের পক্ষে ভালো ,তাতে গরীব মানুষ ১০০ দিনের কাজ সুষ্ঠুভাবে পাবে। তদন্ত হওয়ার দরকার আছে সেটাই হচ্ছে।