নিজস্ব প্রতিনিধি সম্পা ঘোষ,১৫ই জুন বাগুইআটি তুরবায়ন কলা কেন্দ্রের শান্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হল “রিদমস অফ ইনক্লুশন: অ্যা ডান্স অ্যান্ড মুভমেন্ট থেরাপি জার্নি” — এক অভিনব কর্মশালা যেখানে মিলেছিল শিল্প, মনোবিজ্ঞান ও অন্তর্ভুক্তির ছোঁয়া। ন্যাশনাল ডান্স/মুভমেন্ট থেরাপি অ্যাডভোকেসি ডে-কে সম্মান জানিয়ে টিম মানোস্কোপ আয়োজিত এই সন্ধ্যা এক প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের মনে গেঁথে রইল।
এই কর্মশালায় অংশ নেন থেরাপিস্ট, শিক্ষক, নৃত্যশিল্পী এবং নানা পেশার মানুষ, যাঁদের সবাই এসেছিলেন গতির মাধ্যমে আরোগ্য, আত্ম-অন্বেষণ ও সংযোগের পথ অনুসন্ধানে।
এই উদ্যোগের মুখ্য সংগঠক ছিলেন মানোস্কোপের প্রতিষ্ঠাতা, কনসালট্যান্ট সাইকোলজিস্ট এবং আশোক হল স্কুলের প্রবীণ মনোবিজ্ঞান শিক্ষিকা সোমদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মানসিক স্বাস্থ্যচর্চার প্রতি নিষ্ঠা এই অনুষ্ঠানের মূল চালিকাশক্তি।
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ধৃতি চ্যাটার্জী, বিশেষ শিক্ষিকা এবং প্রদীপ সেন্টার ফর অটিজম ম্যানেজমেন্ট-এর নৃত্য ও গতি থেরাপিস্ট। তাঁর সহানুভূতিশীল ও সুসংবদ্ধ দিকনির্দেশনায় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ ও অন্বেষণের সুযোগ পান।
সম্মানীয় অতিথি ও ভাবনামূলক উপস্থাপনা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, যাঁরা তাঁদের বক্তব্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে কর্মশালাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলেন—ডঃ সৃতমা ঘোষ – ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে পিএইচডি এবং অভিজ্ঞ বিশেষ শিক্ষিকা, যিনি গতির মাধ্যমে আবেগ ও মনঃসংযোগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
চন্দনা মণ্ডল – জুম্বা প্রশিক্ষক ও তুরবায়ন কলা কেন্দ্রের কর্ণধার, যাঁর উচ্ছ্বাসে ভরপুর উপস্থিতি অনুষ্ঠানে প্রাণসঞ্চার করে।
রিনি দাসগুপ্ত – স্টেপজোনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী, যিনি গতির আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক দিক তুলে ধরেন।
মনজিত বোস – স্টেপজোনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও কোরিওগ্রাফার, যিনি পারফরমেটিভ আর্ট-এর মাধ্যমে রূপান্তরের গল্প শোনান।
সঙ্গীতা চ্যাটার্জী – ডিএমআই প্র্যাকটিশনার, যিনি শরীরী অভিব্যক্তিতে থেরাপির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন।
অঙ্গিরা চক্রবর্তী দাসগুপ্ত – হিলিং রিদম-এর প্রতিষ্ঠাতা ও এক্সপ্রেসিভ আর্টস থেরাপি প্র্যাকটিশনার, যিনি মনোবিজ্ঞান ও আচার-অনুষ্ঠানকে সৃজনশীলতার সঙ্গে মেলান।
অন্তর্ভুক্তির অনন্য মুহূর্ত
এক বিশেষ মুহূর্তে “প্রয়াস – অ্যা স্পেশাল স্কুল”-এর অংশগ্রহণ সকলকে আপ্লুত করে। তাঁদের উপস্থিতি প্রমাণ করে, নৃত্য বা গতি শুধু কথা নয়, বরং গভীর অনুভূতির ভাষা, যা সবার জন্য উন্মুক্ত।