বালুরঘাট, – ‘লিটল জিনিয়াস কম্পিটশানে’ রাজ্যের সেরা বালুরঘাটের অর্পিতা, আনন্দে উৎফুল্ল পরিবার । মোট কুড়িটি অংকের সঠিক উত্তর দিয়ে ২০২১ এর সেরার সেরা নির্বাচিত হয়েছে বালুরঘাট গার্লস হাই স্কুলের ওই ছাত্রী । রবিবার একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ক্যালকাটা ইউনির্ভাসিটি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়াম থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় অর্পিতাকে । একশো নম্বরের পরীক্ষায় ২০ টা অঙ্ক সঠিক হয়েছে তার । স্কুল সূত্রের খবর, বিদ্যালয় শিক্ষা উন্নয়ন মিশণের পরিচালনায় রাজ্য পর্যায়ে মেধাবীদের চিহ্নিত করতে অনলাইনে এই প্রতিযোগীতার আয়োজন হয় । যেখানে স্টেট লেভেল অলিম্পিয়াড, প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ও লিটল জিনিয়াসের মতো তিনটি বিষয় সামনে রাখেন কতৃপক্ষ । লিটল জিনিয়াস প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় অর্পিতা । শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা অসীম কুমার ঘোষের ছোট মেয়ে অর্পিতা ঘোষ । বালুরঘাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী । ছোট থেকেই প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করত সে । ২০১৬ সালে তৃতীয় শ্রেনীতে পড়বার সময় এমন একটি পরীক্ষায় ৫ টি বিষয়ের উপর সেরা রেজাল্ট করে গোল্ড মেডেল ও পাচ হাজার টাকার চেক এনেছিল মেধাবী এই ছাতী । ২০২১এ লকডাউনে ঘরবন্দী থেকেও অনলাইনে যোগাযোগ করে লিটল জিনিয়াস কম্পিটশানের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অর্পিতা । যেখানে ৫ নম্বর করে ২০ টি বিভিন্ন উচ্চস্তরের অঙ্ক সামনে রাখা হয় । ১০০ নম্বরের সেই পরীক্ষায় রাজ্যে অংশগ্রহনকারী অনান্য সাতটি স্কুলকে পিছনে ফেলে একশো নম্বর পেয়ে চুড়ান্ত স্থান অর্জন করেন বালুরঘাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ওই স্কুল ছাত্রী । রবিবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে রাজ্যের ওই কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা জানানো হয় । অর্পিতা বাড়ি ফিরতেই আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন তার পরিবার ।ছাত্রী অর্পিতার কথায়, প্রতিযোগিতামূলক এই ধরনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা তার যেন একটা নেশা । এই প্রতিযোগিতায় কুড়িটি অংকের সঠিক দিয়ে ১০০ নম্বর পেয়েছে । চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন নিয়েই আগামীতে নিজের পড়াশুনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় । অর্পিতার বাবা অসীম কুমার ঘোষ বলেন, দুই মেয়েই তার গর্ব । ছোট থেকেই অর্পিতার এই নেশায় বাড়ির অর্ধেক ভরে গিয়েছে বিভিন্ন ট্রফি ও সার্টিফিকেটে । তার মেয়ে সকলের মুখ উজ্জ্বল করেছে