নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): সংসদে হামলাকারীদের মন বুঝতে এবার মানসিক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হল। কেন সংসদে হানা দিলেন তাঁরা? হানার নেপথ্যে আসল উদ্দেশ্য কী ছিল? সবই জানা যাবে ওই পরীক্ষায়। রংবোমা নিয়ে হানার পর কেটে গিয়েছে ন’দিন। ইতিমধ্যে ধৃতদের মধ্যে একজনকে মানসিক পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদেরও এক এক করে পরীক্ষা করানো হবে। সংসদে হানার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, নীলম আজাদ, অমল শিণ্ডে এখনও দিল্লির পুলিশের হেফাজতে। এরা ছাড়াও পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন ললিত ঝা এবং মহেশ কুমাওয়াত। এই ছ’জনেরই মানসিক পরীক্ষা (সাইকোলজিক্যাল টেস্ট) করানো হবে। মানসিক পরীক্ষার জন্য মনোবিদদের মুখোমুখি হবেন ধৃতেরা। তাঁদের বেশ কিছু প্রশ্ন করা হবে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে মনোবিদদের এই প্রশ্নোত্তর পর্ব চলবে।
সেখান থেকেই বোঝা যাবে, ঠিক কী ধরনের ভাবনাচিন্তা করে সংসদে রংবোমা হানার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। এর আগে শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডে ধৃত আফতাবের এই মানসিক পরীক্ষা করিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। সংসদ হানার ঘটনায় ধৃতেরা ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। মণিপুর হিংসা, দেশ জুড়ে বেকারত্ব, কৃষক সমস্যার প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমাধানের রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, সব রকম সম্ভাবনাই তাঁরা খতিয়ে দেখছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর রংবোমা নিয়ে লোকসভার কক্ষে ঢুকে পড়েন সাগর এবং মনোরঞ্জন। বেঞ্চ থেকে বেঞ্চে লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটে বেড়ান তাঁরা। ছড়িয়ে দেন হলুদ ধোঁয়া। সাংসদেরাই তাঁদের ধরে ফেলেন এবং তুলে দেন নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। সংসদের বাইরে থেকে একই সময়ে গ্রেপ্তার করা হয় নীলম এবং অমলকেও। এর পরের দিন ললিত দিল্লির পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তিনিই গোটা বিষয়টি পরিকল্পনা করেছিলেন। তারও পরে ধরা পড়েন মহেশ।