নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়) ‘আমায় যদি কোনও তদন্ত সংস্থা ডাকে, তা হলে আমি নিশ্চয়ই যাব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমি কোনও নোটিস পাইনি। আমার চার দশকের রাজনৈতিক জীবন। আমি ছ’বারের কাউন্সিলর, চার বারের বিধায়ক। আমাকে কখনও এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। আমি গোড়া থেকে বলছি যে সিবিআইয়ের চিঠি পাইনি।
আমাকে ডাকা হলে নিশ্চয়ই যাব। সহযোগিতা করব। তবে তারপরেও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে ৩১ আগস্ট আমাকে তলব করা হয়েছে। আমি এখনও পর্যন্ত কোনও নোটিস পাইনি। আমার কাছে চিঠি নেই। সংবাদমাধ্যমের কাছে থাকলে দেখাক। এই ঘটনায় আমি মানসিক ভাবে আহত। এই যে র্যাগিং নিয়ে এত কথা হচ্ছে, আমার সঙ্গে যেটা হচ্ছে সেটাও র্যাগিং। একটা ভুয়ো খবরকে বার বার বলা হচ্ছে।’ বৃহস্পতিবার শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। কার্যত এদিন তাঁর দাবির জেরে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত ২৪ অগস্ট রাজ্যের নানান সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে নাকি তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। ৩১ অগাস্ট মন্ত্রীকে নিজাম প্যালেসে নাকি হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যদিও সেদিনই সুজিত বিব়ৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি CBI’র থেকে সেই ধরনের কোনও চিঠি পাননি। এদিনও সুজিত সেই অবস্থানেই দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ‘আমি আজও বলছি এ রকম কোনও নোটিসই পাইনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশ থেকে ধারাবাবিক ভাবে বলা হচ্ছে, আমাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। গত ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করি। সমাজে মর্যাদা রয়েছে। প্রচুর মানুষ ভালবাসেন। ভুল খবর ছড়িয়ে মর্যাদাহানি করা হয়েছে। যাঁরা ভালবাসেন তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে। বন্ধ করতে প্রয়োজনে মানহানির মামলা করব। এই খবর ছড়ানোর পিছনে নিশ্চয়ই ষড়যন্ত্র রয়েছে। কালি ছেটানো হচ্ছে। কে বা কারা যুক্ত তা তদন্ত করা প্রয়োজন। দোষীদের শাস্তি হোক।’
এর পাশাপাশি তিনি এদিন জানিয়েছেন, ‘মানুষ আমার পাশে রয়েছেন। মানুষের এই সমর্থন পেয়ে আমি অভিভূত ও চিরকৃতজ্ঞ। এই অপপ্রচারে আমার সম্মানহানি হয়েছে। যদি ঠিক মতো তদন্ত করে সত্য প্রকাশিত না হয়, তাহলে আমি আইনের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হব এবং মানহানির মামলা করব… ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। একাধিকবার বিধায়ক ও কাউন্সিলর হয়েছি। নির্বাচনের সময় মানুষের সমর্থনের কথা বোঝা যায়। আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। আমি আবার বলছি কোনও এজেন্সি ডাকলে আমি যাব এবং গিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করব। এজেন্সির তরফেও কিন্তু কিছু বলা হয়নি। কোনও এজেন্সি ডাকলে পালাব না। মুখোমুখি হওয়ার শক্তি ঈশ্বর আমাকে দিয়েছেন। আমি সবসময় মানুষের ভালো কাজ করার চেষ্টা করছি। যেদিন কোনও খারাপ কাজে যুক্ত হব, সেদিন সুজিত বোস নিজে সরে যাবে।’