স্ত্রীকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর বিরুদ্ধে। পাণ্ডুয়া এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিহত ওই যুবতীর নাম অপর্ণা হালদার। বয়স ৩৬ বছর। ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের পরিণতি যে এমনও হতে পারে ভাবতেই পারছেন না অপর্ণার বাড়ির লোকজন। প্রকাশ হালদার নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন অপর্ণার পরিবার।অভিযোগে নাম রয়েছে প্রকাশের বাড়ির লোকেরও। যদিও অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, এটা আত্মহত্যা। দোলের দিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল। তার জেরে এমনটা বলেই অনুমান তাঁদের।কোন্নগরের কানাইপুরের বাসিন্দা অপর্ণার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বৈঁচির আবাদপাড়ার প্রকাশ হালদারের। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার প্রকাশ ও অপর্ণার একটি মেয়ে রয়েছে। অপর্ণার বাড়ির লোকের অভিযোগ, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি ফোন আসে। বলা হয়, মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছেন। তাঁকে পাণ্ডুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।অভিযোগ, পরে রাতের দিকে অপর্ণার বাড়ির লোকজন জানতে পারেন হাসপাতাল থেকে দেহটি পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়েছে। সেটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রবিবার সাত সকালে থানায় গিয়ে পৌঁছয় অপর্ণার বাড়ির লোকজন। সেই সময় মৃতদেহ নানা ক্ষত ছিল বলে অভিযোগ। অপর্ণার চোখে কালো দাগ, শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষতচিহ্ন ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। অপর্ণার এক আত্মীয় অমিত বিশ্বাস বলেন, বোনকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।তবে প্রকাশের পিসতুতো দাদা স্মরজিত্ মল্লিক জানান, “শনিবার রাতে কী হয়েছিল জানি না। তবে দোলের দিন বাড়ির মধ্যেই প্রশান্ত বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মদ্যপান করছিল। সেই সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়। তবে প্রশান্ত শ্বশুরবাড়িতে ৫ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিল, তা নিয়েও গন্ডগোল হতে পারে। হয়ত সেই অপমানেই বৌদি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।” মৃতের ভাই পলাশ মণ্ডল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের অভিযোগ পেয়ে প্রকাশকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ