নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): দমদম বিমানবন্দরে গেলেই ‘বিশ্ব বাংলা’র স্টলে একবার ঘুরেই আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছু পছন্দ হলে উপহার দেওয়ার জন্য তা কিনে নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। তবে বিমান বিলম্ব হওয়ায় এবার হাতে সময় একটু বেশি ছিল। আর সময়ের সদ্ব্যবহার করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘বিশ্ব বাংলা’ স্টলে রাখা ছোট, মাটির দুর্গামূর্তিতে চক্ষুদান করলেন। ছোট মূর্তিতেও লাল রং-তুলির নিখুঁত টানে চোখ পেল মৃন্ময়ী মূর্তি। তাঁর এই কাজে খুশি স্টলের কর্মীরাও। মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ যাওয়ার আগেও যে এভাবে তিনি চক্ষুদান করবেন, ভাবতেই পারেননি কেউ।
পুজোর আর দু’মাসও বাকি নেই। তার আগে মঙ্গলবার দুর্গামূর্তির কপালে লাল রং দিয়ে ত্রিনয়ন আঁকেন মমতা। পরে ঠোঁটেও বুলিয়ে দেন একই লাল রং। মাটির মূর্তিতে কেবল শাড়িটুকুই পরানো ছিল। আর কোথাও কোনও রং ছিল না। মমতা লাল রঙে সেই মূর্তিকেই সাজিয়ে তোলেন। শুধু দুর্গামূর্তি নয়, বিশ্ববাংলার গোটা স্টলটিই ঘুরে ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। শাড়ি এবং অন্যান্য জামাকাপড়ের সংগ্রহ দেখেন। স্টলে রাখা একটি শঙ্খ হাতে তুলে নিয়ে তাতে ফুঁ দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
১১ দিনের বিদেশ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা থেকে প্রথমে তিনি যাবেন দুবাইয়ে। সেখানে বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেবেন। প্রবাসীদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে দুবাই থেকে উড়ে যাবেন স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে।বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে বাংলায় শিল্পের জন্য লগ্নি টানতেই স্পেন সফরে গিয়েছেন মমতা। যাওয়ার আগে বিমানবন্দর থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে জানিয়েছেন, প্রদীপে তেল ভরতে তাঁর এই বিদেশযাত্রা। মমতার সঙ্গে বাংলার শিল্পপতিদের একটি প্রতিনিধিদল গিয়েছে। রয়েছেন কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল ক্লাব ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান স্পোর্টিংয়ের প্রতিনিধিরা।
সাড়ে ১০টা নাগাদ বিশেষ বিমানে তিনি এবং সরকারি প্রতিনিধিদল উড়ে যায় দুবাইয়ের উদ্দেশে। সেখানেই আজকের দিন বিরতি। বুধবার সকালে দুবাই থেকে মাদ্রিদগামী বিমান ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার লা লিগার সঙ্গে বৈঠক দিয়ে প্রথম কর্মসূচি শুরু তাঁর।