স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে রোগীসহ রোগীর আত্মীয় পরিজনদের হয়রানির শিকার হতে দেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগী যাতে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিসেবা পায় সেই উদ্দেশ্যেই নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর স্বপ্নের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। যেখানে রোগী বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা পরিসেবা পাবে। একই সাথে যে সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্র ওই কার্ড গ্রহণ করতে অস্বীকার করবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী ইতিমধ্যে অধিকাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অবমাননা করে চলেছে বেশ কিছু নার্সিংহোম। ফলে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের। বেশ কিছু নার্সিং হোমের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে উঠে এসেছে বাগুইআটির নিউ লাইফ নার্সিংহোমের নাম। এক দুঃস্থ অসহায় ব্যক্তির দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাগুইআটির জ্যাংড়া এলাকায় অবস্থিত নিউ লাইফ নার্সিংহোমে চলতি মাসের ২ তারিখ সংবাদমাধ্যম থেকে ফোন করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড গ্রহনযোগ্য কি না জানতে চাওয়া হলে, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ স্পষ্টতই জানিয়ে দেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সেখানে গ্রহন করা হয় না। ৫ মাস কেটে গেলেও তারা এখনও প্রসেসিং করে উঠতে পারেনি, ফলে জনসাধারণ যে হয়রানির শিকার হয়ে চলেছে সে দায় স্বীকার করে নিয়ে সরকারের কোনও দোষ নেই বলেই সংবাদমাধ্যমকে জানায় নিউ লাইফ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। মেডিক্লেমকে গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হলেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর গ্রহণযোগ্যতা না দেওয়ায় কোনও সুবিধা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীর আত্মীয় পরিজন সহ এলাকাবাসীরা। স্বাস্থ্য পরিসেবা দেবার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে যে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল তারা কি সত্যিই স্বাস্থ্য পরিসেবা দেয় নাকি স্বাস্থ্য পরিসেবার নামে রমরমা ব্যবসা চালায় প্রশ্নটা এখানেই। সরকার বারংবার বলছেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রোগী ভর্তি না নিলে,পরিসেবা না দিলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের লাইসেন্স বাতিল করা হবে, তারপরও সরকারি নির্দেশকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে স্বাস্থ্য পরিসেবার নামে ব্যবসা। এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির লাইসেন্স কেন বাতিল করা হয় না প্রশ্ন ক্ষুব্দ অসহায় রোগীর আত্মীয় পরিজন সহ এলাকার বিদ্বজনেদের।