নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): কলকাতা হাইকোর্টের অভিজিৎ গঙ্গপাধ্যায়ের নির্দেশক চার মাস পরও চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি শিলিগুড়ি দুধমোদের বাসিন্দা অনামিকা। সোমবার হাইকোর্টে এই কর্ম সংক্রান্ত প্রশ্ন শুনিনি। অনামিকা যে এখনও চাকরি পাননি, একথা বলে এজলাসেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জানতে চান, কেন এখনও চাকরি পাননি অনামিকা?
পর্ষদের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সাফাই দিয়ে বলেন, ‘পু ভেরিফিকেশন অসম্পূর্ণ পাননি ৪ মাস পরেও অফিস অনামিকা। ভেরিফিকেশন না পুলিশি ইন্সটেন্টে রয়েছে পুলিশের কর্মশালা। এপ্রভু ক্ষুব্ধ হন স্বাধীন গঙ্গপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কেন ভেরিফিকেশন হয়নি? কোন থানা ছিল কোন দায়িত্বে?’
অনামিকা শিলিগুড়ির বাসিন্দা। তাই তাঁর-ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যের দায়িত্ব শিলিগুড়ি পুলিশ সদস্যদের। এবিষয়টি জানালে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কেন ইন্সটল থাকবে? স্বামী কি সন্ত্রাসবাদী?’ এনিয়ে মঙ্গলবারদুপুর ৩ আপনার মধ্যে লিখিত জমা দিতে শিলিগুড়ি পুলিশকে নির্দেশ দেন গঙ্গোপাধ্যায়। এরইথারি অনামিকা জানান, ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা। এমনকি আপনিও পাঠাবেন। যার ফলে চাপে পড়ে পার্সদ।
এর কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ঘোষণা দিয়ে অনামিকার চাকরির কথা বলা। সোমবার সন্ধ্যায় পার্সর্স একটি ঘোষণা দিতে হবে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্বাসের রায়ের হাতে তুলে ধরতে হবে। রাজনৈতিক নথি নিয়ে তাঁকে পার্সদে আসতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গ, এক বছরও বেশি সময় আগে পুলিশের দুর্নীতির অভিযোগের অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক পরেশচন্দ্রের অঙ্কিতা অধিকারীর কর্মরত শিলিগুড়ি ববিতা সরকারকে সেই চাকরি দিয়েছিল মেয়ে। কিন্তু ববিতা তথ্য ভুল দেওয়া গত মে তাঁর শিক্ষকতার সাংবাদিক বৈঠকে অভিজিৎ গঙ্গোয়। মডেল অফিস শিলিগুড়ির অনামিকার বিশ্বাস রায়কে নির্দেশ দেন তিনি। নিয়ন্ত্রণ নির্দেশের পর চার মাস নির্দেশনা। কিন্তু এখনও তিনি চাকরিতে যোগ দিতে পারেন।