হুগলির উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারি নেশা মুক্তি কেন্দ্রের আড়ালে চলত প্রতারণা চক্র। এইরকমই অভিযোগে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধার গ্রেফতার করলো কে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল রোগীদের থেকে জোর করে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলিয়ে তুলে নেওয়া এবং তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র নিজে হাতিয়ে নেওয়ার। নবদ্বীপের এক যুবক পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নবদ্বীপ পুরসভার ন নম্বর ওয়ার্ডের যোগানার তলা রোডের বসবাসকারী যুবক সোমতীর্থ ভট্টাচার্য ধূমপানের নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উত্তরপাড়ার ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি হন। তার অভিযোগ তিনি সুস্থ হয়ে যাবার পরও জোরপূর্বক তাকে আটকে রেখে ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন রিহ্যাবের মালিক মদন রানা। এমনকি বিভিন্ন সময় তার নাম করে নবদ্বীপের বাড়িতে এসে ল্যাপটপ ঘড়ি টিভি ক্যামেরা সহ বেশ কিছু জিনিস নিয়ে যান তিনি। যার মোট মূল্য আনুমানিক আড়াই লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয় টাকা না পেলে রোগীকে মারধর করার মতন অভিযোগও উঠেছে রিহ্যাবের মালিকের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয় রবিবার। সোমবার তাকে আদালতে পেশ করা হলে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। মঙ্গলবার হুগলির উত্তরপাড়ায় অভিযুক্ত মদন রানাকে নিয়ে আসা হয় তদন্তের অগ্রগতির জন্য। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধার মদন রানা শাসক দল ঘনিষ্ঠ বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। যদিও অভিযুক্ত মদন রানা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পুরো ঘটনাকে একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।