নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশকুমার)৮ জন প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা কর্মীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল কাতারের আদালত। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা সেখানে বন্দি রয়েছেন। এই সংবাদে ভারত সরকার স্তম্ভিত। ভারতের তরফে যে বন্দি সেনাকর্মীদের সবরকম সম্ভাব্য আইনি সহায়তা করা হবে তা জানিয়েছে নয়াদিল্লী।
কাতারে ডাহারা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসাল্টেন্সি সার্ভিসেস নামের এক প্রাইভেট সংস্থায় কর্মরত ছিলেন ওই ৮ প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী। ওই প্রাইভেট ফার্মে কাতারের সেনা সম্পর্কিত কিছু পরিষেবা সরবরাহ করা হয়, এছাড়াও দেওয়া হয় সেনা সম্পর্কিত ট্রেনিং। সেই সংস্থাতে কর্মরত ওই ৮ ভারতীয়কে গত বছর দোহায় অবস্থিত কাতারের ইন্টালিজেন্স সার্ভিসেস তথা গোয়েন্দা বিভাগ আটক করেছে। কাতার সরকার যদিও ওই ভারতীয় সেনা অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে খোলসা করে কিছু জানায়নি, তবে আলজাজিরার খবর অনুযায়ী, ওই ভারতীয় অফিসারদের বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ ছিল কাতারের।
কাতারের খবর ইজরায়েলকে ওই ভারতীয় সেনা অফিসাররা পাচার করছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও ভারতীয় নৌসেনার ওই ৮ অফিসারের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। একরই মধ্যে তাঁদের জামিনের আবেদন বহুবার নাকচ হয়েছে। এরপরই আসে তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের সাজার কথা।
দিল্লি ওই ৮ ভারতীয়ের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক বলছে, ‘আমরা গভীরভাবে হতবাক ওই ফাঁসির সাজা নিয়ে। আমরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে যোগেযাগে রয়েছি, আর আইনি টিমের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছি। আইনি কী বিধি রয়েছে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছি আমরা।’ দিল্লি স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘এই মামলাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি আমরা। আর এটি খুব কাছ থেকে নজরে রাখছি। আমরা দূতাবাস ও আইনি সহায়তা ধরে রাখব। এই বিষয়ে কাতারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’ জানা গিয়েছে, নৌসেনার ধৃত ৮ প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা কর্মী হলেন, ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বর্মা, ক্যাপ্নেট সৌরভ বশিষ্ট, কামান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকার পাকালা, নাবিক রাগেশ, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা।