অনুষ্ঠিত হলো সাহিত্যে বিজ্ঞান কর্মসূচি আয়োজক সহজ মানুষ গানের দল। কলকাতা জীবনানন্দ সভা ঘরের বাইরে কিছু পায়রা আকাশে উড়িয়ে দিলেন সমাজের বিশিষ্টরা। চললো লাইভ পেইন্টিং সাথে মিলিত কণ্ঠে গাইলেন আকাশ ভরা সূর্য তারা বিশ্ব ভরা প্রাণ। আয়োজনের পরিচালক সঙ্গীত শিল্পী তীর্থ বিশ্বাস জানান সাহিত্যে বিজ্ঞান নিয়ে আরো বেশি চর্চা প্রয়োজন। শিশুদের মন বিকাশে এঁর ভূমিকা অপরিসীম। ম্যাজিক সেটাও বিজ্ঞান, তার মধ্যেও সাহিত্য রয়েছে। তীর্থ জানান মিউজিক থেরাপি চিকিৎসা শাস্ত্রেও মূল্যবান ভূমিকা নেবে। এই প্রয়াস কে বাড়াতে গেলে ভারতীয় বিজ্ঞান চর্চাকে আরো উৎসাহ দিতে হবে।ব্রহ্ম জ্ঞানের মধ্যেও বিজ্ঞানের উপস্থিতি আছে, যেখানে সাধনা সেটাই চেতনা আর তাতেই উপলব্ধির শিক্ষা, এই শিক্ষাকে প্রসারিত করতে সহজ মানুষ এগিয়ে এসেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অপূর্ব ঘোষ,তিনি চিকিৎসা ভাষায় কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন।শিশুদের যত্ন নেবার পদ্ধতি তুলে ধরেন। চিত্রশিল্পী দেবাশীষ মল্লিক চৌধুরী তার লেখা ও সুর করা গান খালি গলায় গেয়ে শোনান।
নাট্যকার জয়শ্রী ভট্টাচার্য জানান থিয়েটারে বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে কাজ খুব কম হচ্ছে,তিনি আদিবাসী গ্রামের মানুষদের জীবন ধরণের পদ্ধতি তুলে ধরেন।
প্রাক্তন পুলিশ কর্তা অরিন্দম আচার্য সামাজিক সমস্যা এবং দায়বদ্ধতার কথা জানান। তিনি দেশের এবং দেশের বাইরের চর্যাপদের ফারাক নিয়ে বক্তব্য দেন। প্রসূন ভৌমিক কবিতায় প্রকৃতি সময় কে ধরেন। ইমানুল হক সচেতনতার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। পরিবেশ কর্মী শ্যাম সখা জয়দেব কেন্দুলির মাঝে জঙ্গল গড়ে ওঠার সম্ভাবনা এবং তার সুফল বাউল আখড়ার অবস্থান সামনে আনেন।রিনা গিরি জানান এই আয়োজন অন্য মাত্রা তৈরি করলো, কবি সাহিত্য চর্চায় সহজ মানুষ তীর্থর সাহিত্যে বিজ্ঞান নামকরণের প্রশংসা করে বলেন গানের মানুষ কবি আবৃত্তিকারদের জন্য এগিয়ে এসেছে, এটাই অভিনব পরিকল্পনা।
ক্যানসার নিয়ে গবেষণা রত পারমিতা ব্যানার্জী সাহিত্যে বিজ্ঞানের সম্পূর্ণ উপস্থিতি বিষয়ে সহমত জানান।কবি মহুয়া ব্যানার্জী আধ্যাত্মবাদের মধ্যেও বিজ্ঞানের উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক চিত্র এবং কিছু অবক্ষয় সামনে এনে কবিতা পাঠ করেন।
কবি লিপি চৌধুরী,টিনা রায়,মহুয়া পৈত, মধুমিতা ঘোষ,কৌশিকী গোস্বামী,নাইল ভট্টাচার্য, অভিজ্ঞান চক্রবর্তী, সুমন্ত ভৌমিক, সায়ন্তিকা বসু প্রত্যেকেই এই আয়োজনের জন্য তীর্থ বিশ্বাস কে ধন্যবাদ জানান এবং তাদের লেখা কবিতা পাঠ করেন।
বাচিক শিল্পী স্বাতী দাস, সায়নী মুন্সী, মঞ্জুরী চক্রবর্তী এবং স্নেহা সরকার আবৃত্তি পরিবেশন করেন ।পুরুলিয়া এবং মালদা থেকে আসেন সন্তুর শিল্পী সৌমিক সরকার এবং শাস্ত্রীয় সঙ্গীত প্রশিক্ষক শ্রীকান্ত রায়চৌধুরী প্রমুখ।
অসুস্থতার কারনে অনুষ্ঠানে আসতে না পারলেও লিখিত বার্তায় জাতীয় শিক্ষক কবি ও গবেষক মুকুন্দ বিহারী বিশ্বাস তার পৃথিবী গবেষনা পত্রের প্রসঙ্গ এবং অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন।লাইভ পেইন্টিং করেন চিত্রশিল্পী রিমি চক্রবর্তী। বিষয়ের সাথে ছবির ভাবনা মিলে যায় বলে দর্শকদের অভিমত।আয়োজকদের তরফে হোডিং প্রচারের কর্মী এবং প্রেক্ষাগৃহের যান্ত্রিক ভাবে শব্দ উৎক্ষেপণকারীকেও সম্মানিত করা হয়।সংস্থার কর্মী নৃত্য শিল্পী ও প্রশিক্ষক রম্যা রায় চৌধুরী ও যোগাযোগ সমন্বয়কারী মৌলশ্রী পাড়ুই তারাও সম্মানিত হন।
তীর্থ জানান এটাই তাদের প্রথা, এখানে সবাই সমান। একত্রিত পরিবার,অনু পরমাণু মিলিত হয়ে সূত্র খোঁজ করবে আগামীতেও।
সাহিত্যে বিজ্ঞান মানুষের মনে সদর্থক সাড়া ফেলেছে বলে তিনি জানান।