” ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়”। এটি একটি বহুল প্রচলিত বাংলা প্রবাদ। বেশীর ভাগ সময়েই এই প্রবাদ বাক্যগুলি বই এর পাতার মধ্যেই আবদ্ধ থেকে যায়,বাস্তবে কদাচিৎ প্রয়োগ হয়। মহামারীর এই সময়ে এই প্রবাদ বাক্যটির যথাযথ প্রয়োগ করে চলেছে নৈহাটি পৌরসভা। এতদিনে আপামর জনসাধারণ সবাই জানে যে, করোনা মহামারী থেকে বাঁচার অন্যতম শর্ত হলো টীকাকরণ। যত বেশী সংখ্যক মানুষকে এই টীকার আওতায় আনা যাবে ততই আমরা এই ভয়ানক মহামারীর বিরুদ্ধে বেশী করে লড়াই করতে পারবো। এই সময়ে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতির কারণে সারা দেশ জুড়েই করোনা টীকার মারাত্মক আকাল চলছে, এই বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়।বরঞ্চ দেশের অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় একটু বেশীই বঞ্চনার শীকার আমাদের এই বাংলা।বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই তীব্র বঞ্চনার মধ্যেও রাজ্যে টীকাকরণের গতি অনেকটাই বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে টীকাকরণে বাংলা প্রথম সারিতেই রয়েছে। বাংলার মহান নেত্রী বারবার করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন সীমিত ক্ষমতার মধ্যে থেকেও প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বহু প্রতিকূলতা জয় করা সম্ভব হয়ে ওঠে। আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে সমগ্র নৈহাটিবাসীর কাছে জানাচ্ছি যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সেই হার না মানা আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অপ্রতুল টীকার যোগানের মধ্যেও মাননীয় বিধায়ক ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মাননীয় পরিষদীয় সচিব শ্রী পার্থ ভৌমিক এবং নৈহাটি পৌরসভার মাননীয় পৌর প্রশাসক শ্রী অশোক চট্টোপাধ্যায়ের সুযোগ্য নেতৃত্বে আজ মাত্র ৬ মাসের মধ্যে নৈহাটি পৌরসভা ৫০,০০০ নৈহাটিবাসীকে টীকাকরণের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের সংকল্প খুব তাড়াতাড়ি নৈহাটির সব মানুষকেই এই টীকাকরণের আওতায় আনব। সকলের সাথে সবাইকে পাশে নিয়ে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নকে আমরা সফল করবই। জয় হিন্দ। জয় বাংলা।