
? একটানা চল্লিশটা বছরের কবিতার সাধক কবি~বিদ্যুৎ ভৌমিক এর ‘কলমকথার অন্দরমহল’ ৷ এই রচনা কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক তাঁর অনুভূতিকেউপজীব্য করে লেখা ৷ News Bharat 24 hrs এর এই সংখ্যায় সেই লেখাই আজ ১৯/০২/২০২২ আমরা প্রকাশ করলাম ৷ পাঠক মহাদয়ের কাছে আমাদের আন্তরিক অনুরোধ আপনারা এই লেখা সম্পর্কে আপমাদের সুচিন্তিত মতামত জানাবেন ।—- Editor. News Bharat 24 hrs ? ?____________________________________________ ?️ ~জটিল তত্ত্ব নিয়ে সাপ-লুডো খেলা আমার আদর্শ~ ¤¤ ~বিদ্যুৎ ভৌমিক~ ¤¤ ————————————–এই অবক্ষয়ী বহতাময় যুগে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে কেউ কেউআমার চিন্তা-ভাবনার অদেখা শরীরে আঁচড় বসাতে পারেন । এটাশুধুমাত্র আমার ক্ষেত্রে যে একমাত্র ঘটে চলবে , তা-কিন্তু বলতেআমি চাইনি । এটা কুপ্রভাব সবার ভাগ্যে জুটতে পারে ! এরথেকেরেহাই কি ভাবে পাব বা পাবেন , তার ঔষধী শক্তি আবিষ্কার এইমূহুর্তে হয়েছে বলে আমার ধারণা নেই । নরকের দরজা থেকে স্বর্গ কী দূরে , বলতে-বলতে দেখি লম্পট নটরাজ কি-এক গভীর বৃত্ত থেকে ছুঁড়ে দেয় জটার পাহাড়— সাহসের ধুলো ঝেড়ে দুঃখে দৈন্যে থাকে বহু কালের চোখ~কান~ঠোঁট তখন স্মৃতির চিহ্নগুলো অভিশাপের স্পর্শ নিয়ে আকাশময় ঘোরে ; নিভৃতে কানে কানে কথা বলে । প্রত্যন্তে প্রহর যেন ছায়া থেকে খুঁটে খায় সুধা নতুবা গরল ***** সেদিকের চোখের মধ্যে একই সাথে নড়ে ওঠে সত্যের পারিজাত , — এরপর আরো কত কিছু জীবলোক-অনন্ত অমৃতলোকে গভীর যন্ত্রণায় জাগে জীবন্ত সকাল !! ( নির্বাচিত কবিতা “-নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে বিদ্যুৎ ভৌমিকের কবিতা~অমৃতলোক ) ?️??️ আমি দীর্ঘ ৩০ থেকে ৩৫ বছর একটানা কবিতার জমিতে অনন্তভাবনার ফসল ফলিয়ে চলেছি । বলা যায় এই ধরনের কঠিন ওকঠোর একটা বিশেষ শিল্পের জন্য জীবনের অনেকটা সময় এইআমি-ই খরচ করে ফেলেছি ! এটা আমার কাছে সত্যি অর্থে একইন্টারেস্টিং চ্যালেঞ্জ বলা যায় । নিকটবর্তী একটা রেখা জনশূন্যচোখে অচিরেই ছবি হয়ে গেছে । নেশার একেবারে প্রত্যন্ত থেকেকবিতার নীল পাখি ভেতরে-গভীরে ডেকে ওঠে , এটা কি আপনারবাড়ি ? অতলের তলে স্মৃতির অমৃত থাকে অনন্ত নিঝুম । চাঁদ-জল তবু শান্ত কোলাহল খোঁপা বাঁধা ঘাসফুল মনমরা শেফালিররোদে । প্রেমের গভীরে থাকে প্রেম , অন্য কিছু নয় । উপলব্ধিটাএকমাত্র আমার-ই । বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো কত-যে রাত্রি জাগরণচলে , এই কবিতার মধ্যে শাখা~প্রশাখার জট খুলতে খুলতে এইআমি কখনো মরি , আবার কখনো আগের দিনের মতো বেঁচে —উঠি বুক ভর্তি অক্সিজেন নিয়ে ! কবিতা আমার একান্ত ব্যক্তিগতদুর্বলতা , এই দুর্বলতা আছে বলেই আমি অনেক প্রতিকূলতারমধ্যে থেকেও অনেকটাই ব্যতিক্রমী এবং অনেকের চেয়েও ভালো আছি …… ! ?️??️ মর্মে সে এতকাল ছিল বলে আমিও নীরব ইচ্ছা নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম আকাশের দিকে । শেষ বেলায় কথাবাক্য থেমে গেছে ; বেশ কিছু নিছক স্বপ্নে , — প্রেমের কবিতা নিয়ে যতবার এসেছি কাছে সে এক অন্যমূর্তি দেখায় ভাঙা দর্পণে ! ঘুরেছি স্মৃতিমন নিয়ে , চোখ বন্ধ আবেগ বন্যায় তুই যেন আমার ঈশ্বরী বুকের ভেতর খুলে দেখি অন্তর্জলী যাত্রা ভাসে সমস্ত ক্যানভাসে ! সেদিনের রোদ্দুরটুকু আমি যেন দাম দিয়ে কিনেছি তোকে দেব ; সেই সতত ইচ্ছায় , — ভুল উচ্চারণে লজ্জিত চোখ ভ্রাম্যমাণ একা হয়েছে সেই থেকে কয়েকটা জনম । অথচ তুই— ?️??️ ( অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি থেকে এই কবিতাটি — বিদ্যুৎ ভৌমিক ) ক-বি-তা “— একসময় মহাকাব্যের আখ্যা পেয়েছিল ! মনের কথাবলতে পারার একমাত্র সঠিক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় এইকবিতা নামক বিষয়টাকে । কে কী ভাবে লিখছেন , সেই লেখাসঠিক বিন্যাসে নিপাট বিজ্ঞাপন হয়ে উঠবে কিনা , সেটা মহাকালবিচার করবে । জীবনধর্মী চেতনার আর এক নাম ক~বি~তা !আমার বেশ কিছু লেখা আজও অসম্পূর্ণ রয়েছে , কিছুতেই ওইলেখাগুলো শেষ করে উঠতে পারিনি ! মাঝেসাঝে ইচ্ছা জাগেওই সব অসম্পূর্ণ লেখাগুলো নিয়ে বসবো , সেগুলোর একটানতুন নাম দিয়ে একটা কোলাজ কাব্যপট তৈরি করবো , আমারভাবনাটা ভাবনাই রয়ে গেছে বহুদিন ধরে ***** ! কবিতা নামকযে মন , চোখ, এবং সর্বোপরি এই জীবন আমি পেয়েছি , এটিই—তো আমার ভাগ্য বলতে পারি । একটা লেখা তৈরি করার সময়আমি একেবারে তার মধ্যে একেবারে ঢুকে যাই ! ওখান থেকেবেরিয়ে আসতে অনেক অনেক সময় লাগে । যখন সম্বিত ফিরেপাই , তখন বাস্তবতা ও পরবাস্তবতা একেকার হয়ে যায় ! কবিতালেখা নাকি বিড়ম্বনা ! এটা কলকাতার একটি বিশেষ পত্রিকায়কোনো এক বিশিষ্ট সাংবাদিক সম্প্রতি লিখেছেন ! উনিকি এইসময়ের কবিতার প্রতি রাগ প্রকাশ করে এই উক্তি করেছেন , নাওনার অতীতের সব বিশেষ-বিশেষ কবিতা রচয়িতাদের কবিতাসম্পর্কিত কোনো ধারণাই নেই , যদি থাকতো তাহলে তিনি ওইউক্তি করতেন না , তাই না ? কবিতাচর্চার এক বিশেষ অবস্থানআছে । এটা যুগ-যুগ ধরে চলে আসছে **** এই বহতাময় পথেকত দিন , কত যুগ , কত~কত সময় ধরে কত কবি হেঁটে হেঁটেহেঁটে চলেছেন , তার হিসেবের অন্ত নেই বলা যায় ! জীবন-বোধযাঁদের আদর্শের মূল সূত্র , সেইসব কবিদের সৃষ্টির সেরা ফসলআমরাই যত্ন করে ঘরে তুলি । ?️??️ কথা ধরে টানাটানি করি ; ওটা নষ্ট দর্পণ প্রাচীন ও সাধারণ অলৌকিক গদ্যময় ! কথারা নীরব ছিল আবহমানকাল অতলান্তে ভালোবাসা ছদ্মবেশে খুলে দেখে ; কালের কেলেন্ডার ***** সেই যে ধুলোর ঝড় অশরীর গোলমেলে কবিতা সাক্ষী হয়ে আছে জটিল প্রার্থনায় , — অভিন্ন নির্ঘুম । কথা ভাসে স্ট্রটোস্ফিয়ারের মধ্যে নির্বাচিত স্মৃতিচোখ মেলে ***** শেষবার শব্দগুলো ঈর্ষায় জ্বলে ; যেভাবে সারিবদ্ধ কাব্যবাক্য গুলো ঝনঝন করে ভেঙে পড়ে শোকে ও প্রতিটি দুঃখের সাথে । ( দীর্ঘ কবিতা থেকে বিদ্যুৎ ভৌমিক ) ?️??️ আমার কবিতা , সে-টা কঠিন কিম্বা কঠোর ! এই-সব কথাবার্তাএই মুহূর্তে না করাই ভালো , আর যদি করি তাহলে বলতেই হয় , -কবিতা নামক বিষয়শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত নিবন্ধসমূহের আদ্যোপান্তব্যপার গুলির দিকে যদি দৃষ্টি নিক্ষেপ করা যায় ; তাহলে সবটাইদর্পণের প্রতিবিম্বের মত পরিস্কার ও স্পষ্ট হয়ে চোখের ও মনেরমধ্যে এসে হাজির হবে ! কবিতা বুঝি বা না বুঝি , এটা বড় কথানয় । যেটা বলতে চাইছি , তার সত্যতা কতটা যুক্তিযুক্ত এবং ছবি-টা কতটা যৌক্তিক , এটাই প্রকৃত সত্য বলা যায় । ইদানিং কবিতানিয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে । একটা সময় কবিতা শব্দটার ওকবি নামক শব্দটার প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘৃণা এবং একবিশেষ অবহেলা স্বাভাবিক ভাবেই দেখা দিত ! যেটা থেকে এইসময়কার কবিরা অনেকটাই পথ ভেঙে~ভেঙে এখন একটা নতুনপরিস্কার পরিচ্ছন্ন জায়গা পেয়েছেন ! এটা কম সুখের , তাই-না ?আমি-তো নিয়মের চেয়ে বেশি অনিয়মে মধ্যে বাস করে থাকি ।এটা আমার অভ্যাসের মধ্যে থেকে গেছে ! খুব পরিচিত এবং প্রিয়জন না হলে আমি কোথাও আমার কবিতা ছাপতে দেইনা ।এটা নাকি আমার আত্মগত অভিমান , কিম্বা অপরিণত চিন্তাররূপরেখা ! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আমাকে প্রতিদিন একইভাবে আন্দোলিত করে । আমাকে ভেতরে ভেতরে একটা নতুনমানুষ করে তোলে ! আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি একটা কবিতাভগবৎ গীতা কিম্বা পবিত্র কোরআন শরীফের মত ইউনিভারস্যালযা দিয়ে বিশ্বের চেহারাটা-কে পাপ পুণ্যের বালাই থেকে এক নতুনপথের ঠিকানা দিতে পারে ! যাই হোক , আমার কাব্য-ভাবনা নিয়েআবার কখনো সময় পেলে লিখবো , যদি এই হৃদয়তান্ত্রিক লেখাপড়ে আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আমি মনে করবো আমারলেখা সার্থক । সবাই ভালো থাকুন এবং কবিতার সঙ্গে থাকুন । ❤️ ?️??️______________________________________________________________________________________